মঙ্গলবার , মার্চ ১৯ ২০২৪
নীড় পাতা / আন্তর্জাতিক / রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা


খুলনা বিভাগ সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। যা ভারত সরকারের কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অর্থায়নে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে, যার বেশিরভাগই হচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্ক প্রদান করেছে। প্ল্যান্টটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে এবং অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।

১৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের ফেজ-১ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে উদ্বোধন করেছিলেন।
শনিবার সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্ব উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

জানা যায়, কয়লা সংকটের কারণে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ বলেন, এরই মধ্যে কয়লা আমদানির জন্য ডলার ছাড় হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রওনা হয়েছে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কয়লা আসার পর চলতি মাসেই ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ইতিমধ্যেই এই প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে তা সরবরাহ করতে শুরু করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শীঘ্রই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাতে পূর্ণাঙ্গভাবে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তা জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। শক্তি সহযোগিতা ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর মৈত্রী ও সহযোগিতার একটি সুনির্দিষ্ট প্রকাশ বলে জানান মি. প্রণয় ভার্মা।

আরও দেখুন

“ বৈশ্বিক এই সংকটের জন্যে আমরা দায়ী নই, কিন্তু আমরা ভুক্তভোগী”- প্রতিমন্ত্রী পলক

নাটোর প্রতিনিধি: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,“বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারীর …