শনিবার , ডিসেম্বর ২১ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / রাণীনগর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও হাসপাতালে ১১পদের মধ্যে প্রধান কর্মকর্তা ও সার্জনসহ ৬টি পদই ফাঁকা

রাণীনগর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও হাসপাতালে ১১পদের মধ্যে প্রধান কর্মকর্তা ও সার্জনসহ ৬টি পদই ফাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাণীনগর : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে ১১টি পদের মধ্যে প্রধান কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারী সার্জনসহ ৬টি পদই ফাঁকা রয়েছে।ফলে দাপ্তরিক কাজকর্মসহ উপজেলার প্রায় চার লক্ষাধীক গবাদিপশুর চিকি’সা সেবা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া হঠা’ করেই গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিসহ বিভিন্ন রোগ বেড়ে যাওয়ায় এবং হাসপাতালে লোকবল না থাকায় চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।রাণীনগর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে,উপজেলা জুরে চার লক্ষ ১৯হাজার ২২৩টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে একলক্ষ ৮০হাজার গরু,একহাজার ৬৩টি মহিষ,দুই লক্ষ ১৬০টি ছাগল এবং ৩৮হাজার ভেড়া রয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০/৮০টি পশুর চিকি’সা দিতে হচ্ছে।এরই মধ্যে হঠা’ করেই উপজেলা জুরে গবাদিপশুর  ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে প্রধান কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারী সার্জন না থাকায় চিকিৎসা সেবা আরো চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। সুত্র জানায়,এই দপ্তরে প্রধান কর্মকর্তা,একজন 

ভেটেরিনারী সার্জন,দুইজন ভেটেরিনারী মাঠ সহকারী,একজন অফিস সহকারী এবং একজন ড্রেসারের পদ ফাঁকা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান,দপ্তরের এতোগুলো পদ ফাঁকা থাকার কারনে মাঠ সহকারীরা বাহিরে কাজ করতে পারছেননা। হাসপাতালেই গবাদিপশুর অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। এছাড়া ভেটেরিনারী সার্জন না থাকায় মাঠ কর্মী দিয়ে সার্জনের কাজকর্ম পারি দিতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রায় দুই মাস ধরে প্রধান কর্মকর্তার পদ ফাঁকা থাকায় দাপ্তরিক কাজকর্মও ব্যহত হচ্ছে। তাই পশুর চিকি’সা সেবার মান-উন্নয়নে দ্রুত ফাঁকা পদগুলো পুরণ করতে সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।গোনা গ্রামের সিরাজ হোসেন বলেন,হাসপাতালে গরু নিয়ে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া গবাদি পশুর অতিরিক্ত চাপ থাকার কারনে কোন রকমে গরু দেখে তাড়াহুরো করে চিকিৎসা দিয়ে ছেরে দিচ্ছেন। ফলে সঠিক রোগ নির্নয় হচ্ছে কিনা বা সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছেন কিনা তা নিয়েও সন্দে রয়েছে। তাই সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা পেতে দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি।ঘোষ গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন,গরুর রোগ ব্যধী হলে আগে পশু 

হাসপাতালে ফোন করলেই বাড়ীতে বসেই চিকি’সা সেবা পেয়েছি। কিন্তু এখন হাসপাতালে না গেলে আর চিকি’সা পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে সময় এবং অর্থ ব্যয় করে ৮/১০কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের কর্মকর্তা মহির উদ্দীন বলেন,এসব বিষয় নিয়ে আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে 

জানিয়েছি। আসা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফাঁকা পদগুলো পুরণ হবে।

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *