নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর রাণীনগরে এক নার্সের দু’বছরের শিশু কন্যাসহ দু’জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তাদের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা মোট ৩১ জন। এরই মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে চলা ফেরা করছে সাধারণ মানুষজন। জমজমাটভাবে চলছে সাপ্তাহিক পশুর হাট ও বাজারগুলো। গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে রাস্তায় চলছে গণপরিবহন। ফলে আরো দ্রুত করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবার আশংকা করা হচ্ছে।
সারাদেশে করোনাভাইরাস রোধে সাধারণ ছুটিসহ একের পর এক জেলাগুলোকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক জেলা প্রশাসক নওগাঁ জেলায় সাপ্তাহিক হাট বাজার, চা-স্টল, খাবারের হোটেল, গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খুলে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া খুলে রাখা দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচা-কেনার নির্দেশ দেন।
নওগাঁ জেলার মধ্যে রাণীনগর হাসপাতালের একজন নার্সের প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আরো কঠোর অবস্থানে দাঁড়ায় স্থানীয় প্রশাসন। ধীরে ধীরে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ জনে। অবশ্য ইতিমধ্যে আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ঈদের আগে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে দোকানপাট, খোলার ইঙ্গিত আসলে ঈদের মার্কেট করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সাধারণ লোকজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, করোনা আক্রান্ত হাসপাতালের এক নার্সের দু’বছরের শিশু কন্যা এবং উপজেলার রনসিঙ্গার পাড়া গ্রামের ৩৭ বছর বয়সি একজনের সংক্রমণ ধরা পরে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমরা মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।