নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
নওগাঁর রাণীনগরে হামলা চালিয়ে মারপিট করে একটি দারুস ইহসান কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাস ও নুরানী স্কুল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় স্কুলের প্রিন্সিপাল ময়নুল ইসলাম বাদী হয়ে সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন প্রায় ৬৫০জন শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার চকমুনু গ্রামে “দারুল ইহসান কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও নূরানী স্কুল” প্লে-থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পরিচালনা করে আসছেন। স্কুলে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৩৩ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর স্কুলটি বন্ধ থাকার পর সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী গত ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের ন্যায় উক্ত বিদ্যালয়টি সকাল থেকেই খোলা হয়। এ সময় সকাল ৮টার মধ্যে প্রায় ৩৩ শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত হয়। এ সময় প্রিন্সিপাল ময়নুল ইসলামের আপন ভাই মমতাজ হোসেন বেশ কিছু লোকজন নিয়ে স্কুলে এসে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গাড়ী চালকদের ভয় ভিতি দেখায় এবং ময়নুল ইসলামকে মারপিট করে।
এ সময় ময়নুল ইসলাম সেবা নাম্বার ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এছাড়া গাড়ী চালকের বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে দিচ্ছে না। এ ঘটনায় সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে সোমবার বিকেলে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ময়নুল ইসলাম।
স্কুলের প্রিন্সিপাল ময়নুল ইসলাম বলেন, এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তারে গত ২০০৪ সাল থেকে সুনামের সহিত স্কুলটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জ্বের ধরে আপন ভাই মমতাজ উদ্দীন স্কুলে এসে মারপিট করে স্কুল বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৬শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশায় পরেছেন।
এ ব্যাপারে ময়নুলের ভাই মমতাজ হোসেন স্কুল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জায়গা নিয়ে আমাদের ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। ওই জায়গা আমাদেরকে চার মাস পর ছেরে দেয়ার কথা হয়েছে। আমরা বলেছি চার মাস পরই ছেরে দিক কিন্তু সেটা একটু কাগজে লিখে দিতে কিন্তু ময়নুল লিখে দিচ্ছেনা।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, চকমুনু গ্রামে দারুল ইহসান কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও নূরানী স্কুল বন্ধের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
