নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের বড়খোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ তুলে শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযোগ দায়েরের প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো এর কোন সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগ কারীরা। দায়ের কৃত অভিযোগ সুত্র ও অভিযোগকারী বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দীন এবং গ্রামের আসিফ আলী জানান,নৈশ্য প্রহরী উজ্জল হোসেন স্কুলে যোগদান করার পর থেকে ঠিক মত বিদ্যালয়ে থাকেনা। এমন কি অনেক সময় তার মা এবং মেয়েকে বিদ্যালয়ে রাখে।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক বা ম্যানিজিং কমিটির কাউকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মতো চলা চল করে। বিদ্যালয়ের কাউকে না জানিয়ে একটি বকুল গাছ কেটে বাড়ীতে নিয়ে গেছেন। বিদ্যালয়ে সংযোগকৃত বিদ্যুতের লাইন অবৈধভাবে টেনে নিয়ে বাড়ীতে ব্যবহার করছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ে চলমান নির্মিত ভবনের বহু রড,ইট,বালু ও লোহা লক্কর বাড়ীতে রেখেছেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত হলেও বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ করে বসত ঘর নির্মান করেছেন। বিদ্যালয়ে ছাগল বেঁধে রাখা ও খরের পালা দিয়ে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করছেন।
এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই বিদ্যারয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দীনসহ গ্রামের আরো ৯জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গত ১৭ আগষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দেয়া হয়েছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি,তবে কি অভিযোগ দিয়েছে তা আমার জানা নেই।
সবগুলো অভিযোগ অস্বীকার করে নৈশ্য প্রহরী উজ্জল হোসেন বলেন, হাই স্কুলের জায়গা নিয়ে আমাদের সাথে দ্ব›দ্ব চলছে। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাকে হয়রানী করার জন্য তারা অভিযোগ দিয়েছে।রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার সামচ্ছুজামান বলেন, বড়খোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্য সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন হবে।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …