সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / নওগাঁ / রাণীনগরে মাঠে দুলছে সোনালী ধানের শীষ

রাণীনগরে মাঠে দুলছে সোনালী ধানের শীষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
নওগাঁর রাণীনগরে ৮টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন রোপা-আমন ধানের সোনালী শীষের বর্ণিল সমারহ। যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালী রং বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা রোপা-আমন ধান চাষের দৃশ্য। মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শীষ। চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করছে চাষিরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম ধান চাষ করায় কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন পর্যন্ত হানা না দেওয়ায় রাণীনগরে রোপা-আমন ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ মনে করছে। ইতি মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প পরিসরে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বন্যা না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে রোপা-আমন ধান চাষ হয়েছে। সব মিলে এই উপজেলায় চলতি রোপা-আমন মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে রাণীনগর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ ১ শ’ ৮৫টি, বিদ্যুৎ চালিত ব্যক্তিগত ৮৫ টি, ডিজেল ৩০ টি, নদী থেকে এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ১২ টি’র মাধ্যমে আবাদি রোপা-আমন ধান ক্ষেতে সেচ প্রদান করছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক আহাদ আলী জানান, চলতি রোপা-আমণ মৌসুমে আমি ৩০বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় আমার ধান ভালো হয়েছে। গত সপ্তাহে মাত্র ১বিঘা জমি ধান কাটা মাড়াই করে প্রতিমণ ১১শ’ টাকায় বিক্রি করি। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবারে ধান চাষে লাভ বেশি হবে। উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শীতানাথ ঘোষ জানান, চলতি রোপা আমণ মৌসুমে টুকটাক কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। সরু জাতের ধানের দাম বেশি থাকলেও মোটা জাতের ধানের দাম স্বাভাবিক পর্যায় আছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে। ভাল ফলনের সম্ভাবনার মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সঠিক সময়ে চারা লাগানো পরামর্শ, নিবিড় পর্যবেক্ষন, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, সার সংকট না থাকা, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করায় রোপা-আমন ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। 

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …