নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
নওগাঁর রাণীনগরে বিধবাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগে ইমাম,স্থানীয় মাতাব্বরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় থানাপুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মাতব্বররা সালিশ বসিয়ে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ওই ইমামের।
জানা গেছে, উপজেলার গহেলাপুর বড়িয়া গ্রামের মৃত শাহাদ আলীর ছেলে জাকারুল ইসলাম জাকির (৫০) একই উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করছেন। এসময়ের মধ্যে উপজেলার প্রত্যন্ত্য অঞ্চলের জনৈক বিধাব (৪০) এর সাথে পরিচয় ঘটে জাকিরের। এর পর প্রায় ২ বছর আগে বিধবাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে বিধবা প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এর পর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাতে বিধবার বাড়ীতে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এঘটনার চার দিন পর আবারো ওই বিধবার ঘরে ঢুকলে বিধবা জাকিরুলকে বিয়ের চাপ দেয়। এসময় বিয়ে করবেনা জানিয়ে বিধবাকে মারপিট করে চলে যায় জাকির।
পরের দিন ঘটনাটি উপজেলার বড়গাছা বাজারে মাতাব্বর জামালসহ কয়েক জনকে জানালে গত ৪ জানুয়ারী রাতে ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে বিধবাকে ডেকে বড়গাছা বাজারে সালিশ বসিয়ে ইমাম জাকিরুলের ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এর পর বিধবাকে কোন টাকা না দিয়ে ঘটনা কাউকে না বলতে চাপ দেয় মাতাব্বররা।
এঘটনায় ওই বিধবা বাদী হয়ে রবিবার রাতে ধর্ষন ও ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ এনে ইমাম জাকিরুল, মাতাব্বর জামালসহ ৩ জনকে এজাহার নামীয় এবং আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে শুখান দিঘী গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে মাতাব্বর জামাল হোসেন (৪৬) ও বড়গাছা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অফির উদ্দীন (৬০) কে গ্রেফতার করেছে।
রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বিধবা। এঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।