নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
দেশের উত্তর জনপদের ধান উৎপাদনের জেলা নওগাঁর রাণীনগরে অন্যান্য কৃষি ফসলসহ বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফলের পাশাপাশি বড়ই চাষ শুরু হয়েছে। এই পেশায় মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্র নাজমুল ইসলাম নাইস স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ইতিমধ্যেই তার বাগান থেকে কয়েক দিনের মধ্যে পাকা বড়ই বিক্রয় শুরু হবে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভের পরিমাণ বেশি হবে বলে তিনি আশা করছেন। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি চলছে বলসুন্দরী জাতের বড়ই চাষ। ছোট-বড় সুবজ রঙের গোল আকৃতির ড্রাগন ফলের এবং বড়ই গাছে ইতি মধ্যে ডালে ডালে ঝুলছে বলসুন্দরী জাতের পাকা বড়ই। ড্রাগন ফল চাষের শুরুতে চাষি নাইস ভাল করতে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও হাল ছেড়ে না দিয়ে এর প্রসার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশি লাভের আশায় প্রথম বারের মতো বানিজ্যিক ভাবে বড়ই চাষ শুরু করেছেন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের রনজনিয়া গ্রামের বিশিষ্ট ধান-চাল ব্যবসায়ী আজিজুল হকের বড় ছেলে নাজমুল ইসলাম নাইস (২৯)। পড়ালেখা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই ২০১৪ সাল থেকে পরীক্ষা মূলক ভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে। সব প্রতিকূল অবস্থা ডিঙ্গিয়ে বর্তমানে প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর ড্রাগন ফল চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে বড়ই চাষ শুরু করেছে। তার এই প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন, “রনজনিয়া ড্রাগন ফ্রুটস গার্ডেন”। তিনি আশা বাদি খুব তারাতারি স্বাবলম্ভী হয়ে উঠবেন। তার আগ্রহ দেখে পরিবারের সবাই আগে থেকে বেশি সহযোগীতা না করলেও বর্তমানে তাকে সহযোগিতা করছেন। বাগান পরিচর্চার জন্য স্থায়ী ভাবে ৬ জন এবং বিশেষ প্রয়োজনে সময় বুঝে আরো ৮-১০ জন শ্রমিক দৈনিক মজুরী হিসেবে কাজ করে।
নিবির পরিচর্চা ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারিগরি পরামর্শে প্রয়োজনীয় কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে বাগানের অবস্থা বর্তমানে খুবই ভাল হওয়ায় বড়ই গাছের ডালে ডালে পাকা বড়ই শোভা পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ১১ বিঘা জমিতে বড়ই বাগান আছে। কয়েকদিনের মধ্যে বিক্রি শুরু হবে বলে নাজমুল ইসলাম নাইস জানান।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমান সময়ে সবচাইতে পুষ্টিকর ও উচ্চ ফলনশীল বলসুন্দরী বড়ই। নাইসের বাগানে ড্রাগন চাষের পাশাপাশি প্রায় ১১ বিঘা জমিতে বড়ই চাষ করেছে। একই জমিতে দুই ফসল পাওয়ায় সে লাভবান হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এবছর তিনি বড়ই বিক্রিয় করে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।