নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর :
নওগাঁর রাণীনগরে শেয়ার না দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি গভীর নলকুপের ডেলিভারি পাইপসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লুটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আকনা মাঠে জিয়ারুল মন্ডলের গভীর নলকুপে এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। লুটের পর প্রতিপক্ষরা গভীর নলক‚পটি দখলের জন্য তালাবদ্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ইউএনও এবং রাণীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নলক‚পের মালিক জিয়ারুল মন্ডল। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার আকনা গ্রামের কৃষক জিয়ারুল মন্ডল চলতি বছরের গত ইরি-বোরো মৌসুমে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে সোলার প্যানেল সৌরচালিত একটি গভীর নলক‚প নিময় অনুযায়ী বাঁশবাড়িয়া মৌজায় আকনা মাঠে স্থাপন করেন। এরই মধ্যে স্থাপনের কিছুদিন পর আকনা গ্রামের খবির শেখ, আব্দুল মজিদ মন্ডল ও বাঁশবাড়িয়ার নবাব আলীসহ কয়েকজন ওই গভীর নলক‚পের শেয়ার দাবি করেন। নলক‚পের মালিক জিয়ারুল তাদের শেয়ার না দেওয়ায় জিয়ারুলের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ১ আগষ্ট সাবেক ইউপি সদস্য খবিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষরা প্রকাশ্যে জিয়ারুলের গভীর নলকুপের ডেলিভারি পাইপ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যায়। এরপর প্রতিপক্ষরা নলক‚পে তালা দেয়।
ভুক্তভোগী গভীর নলকুপের মালিক জিয়ারুল মন্ডল জানান, প্রতিক্ষপকে নলক‚ পের শেয়ার না দেওয়ায় তারা আমার নলকুপে লুটপাট চালিয়েছে। আমার নলকুপটি প্রতিপক্ষরা দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে বিভিন্নভাবে তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার চেয়ে আমি রাণীনগর থানায় এবং উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য খবির শেখ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে লুটের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পন্ন মিথ্যা। নলকুপ স্থাপনের সময় জিয়ারুল নিজেই আমাদের বেশ কয়েকজনকে শেয়ার দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জিয়ারুল গভীর নলক‚ পের পানি সেচের কোন হিসাব আমাদের দেয়নি এবং এখন আর আমাদের শেয়ার দিতে চান না। এ কারনেই বিষয়টি সমাধানের জন্য ডেলিভারি পাইপ খুলে নিয়ে এসেছি ও নলক‚ পে তালা দিয়েছি।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ইউএনও শাহাদাত হুসেইন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।