নিজস্ব প্রতিবেদক,রাণীনগর :
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শিয়ালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।এতে দুই শিক্ষক আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয় অফিস কক্ষে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শিয়ালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল আমিন বলেন,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আছেন শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার মহন্ত। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আসায় নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য গত ৩আগষ্ট শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমারের নাম প্রস্তাব করেন প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার। কিন্তু শিক্ষক উত্তম কুমার সভাপতি থাকা অবস্থায় বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা অসহযোগিতার কারনে শিক্ষকরা তাকে কমিটিতে রাখতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র বর্মণ, সহকারী শিক্ষক জগেন্দ্রনাথ এবং আমিসহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে নতুন করে অন্য শিক্ষকের নাম
দিতে বলি। এসময় উত্তম কুমার অফিসে এসে কেন তাকে কমিটিতে রাখা হবেনা এমন বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আমাদেরকে মারপিট শুরু করে। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রক্তাক্ত জখম হন। তাকে রাণীনগর হাসপাতালে চিকি’সা দেয়া হয়েছে।এঘটনায় বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মারপিটের বিষয় অস্বীকার করে শিক্ষক উত্তম কুমার বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এসে আমাকে মারপিট করেছে এবং আল আমিন আমার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কামড়ে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমি স্থানীয়ভাবে চিকি’সা নিয়েছি। এঘটনায় একাডেমিক সুপার ভাইজারসহ সংশ্লিষ্ঠদেও জানানো হয়েছে।
শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনে উত্তম কুমারের নামের প্রস্তাব করেছিলাম। সেটা তাদেও মনপ্রোত না হওয়ায় অন্য শিক্ষকের নাম দিতে বলে। এসময় এবিষয়গুলো নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
রাণীনগর উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কামরুল হাসান বলেন,এবিষয়টি প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ চন্দ্র মৌখিকভাবে আমাকে জানিয়েছেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন,শিক্ষকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।