নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
নওগাঁর রাণীনগরে মৌসুমের শুরুতেই আম ধান রোপনে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন চাষীরা। বড় ধরনের বর্ষণ কিম্বা উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসার আগেই তরি-ঘরি করে জমি চাষ, রোপন থেকে শুরু করে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন ইতি মধ্যে প্রায় ৭৮০ হেক্টর জমির ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৮হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে আতব, ব্রি-৯৫,বিনা-১৭, স্বর্ণা-৫, ব্রি-৭১, ব্রি-৭৫, ব্রি-৪৯সহ বেশ কয়েকটি জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে।
সরকাটিয়া গ্রামের শাজাহান আলী, কালীগ্রামের খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, জলকৈ গ্রামের গৌতম চন্দ্রসহ কৃষকরা জানান, গত বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বেশ ভাল ফলন হয়েছে। পাশা-পাশি বাজারে ধানের দাম খুব ভাল পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছেন তারা। এবার মৌসুমের শুরুতেই ধান রোপন শুরু করেছেন। বড় ধরণের বর্ষা কিম্বা উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জমি তলে যাওয়ার আগেই তরি ঘরি করে ধান রোপন করছেন। তাছাড়া যে কোন সময় পানিতে জমি তলে গেলে ধান লাগানো মস্কিল হয়ে পরবে। এছাড়া বর্তমানে জমিতে যে পরিমানে পানি রয়েছে তা ধান রোপনের উপযুক্ত। আবার দীর্ঘ অনাবৃষ্টি শুরু হলে জমির পানি শুকিয়ে গেলে ধান রোপনে বিড়ম্বনায় পরতে হবে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেউ জমিতে হাল চাষ করছেন, কেউবা জমির আইল কাটছেন, আবার কেউবা বিছন তুলে ধান রোপনে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। কৃষকরা আসা করছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার জমিতে ধান ভাল হবে।
তারা বলছেন, প্রতি বছর ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বন্যার পানিতে এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এবছর সেই বেড়িবাঁধ সংস্কার করার কারনে বন্যার আশংকা কম বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে চলতি মৌসুমে সুষ্ঠু ভাবেই ধানের আবাদ ঘরে তুলতে পারবেন এমনটায় স্বপ্ন কৃষকের চোখে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, গত বোররো মৌসুমে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপন করেছিলেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন এবং বাজারে দাম ভাল থাকায় বেশ লাভবান হয়েছেন। এ মৌসুমে ১৮ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৭৮০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে।আসা করছি আগাম ১০/১২ দিনের মধ্যে ধান রোপন সম্পন্ন হবে।
