নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া (রাজশাহী) :
রাজশাহী-৫ আসনে নির্বাচনের আগে ও পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান রাজশাহীর সাংবাদিক ইউনিয়নে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জনগণের অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন সফল করার লক্ষ্যে আমি রাজশাহী -৫ ( পুঠিয়া-দূর্গাপুর ) সংসদীয় অসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি । নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার শুরু থেকে আমার নেতা-কর্মীসহ আমাকে নৌকার প্রার্থী ও তার পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্গন করে যা বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন হয়েছে ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচনের শুরু থেকে পুঠিয়া-দূর্গাপুর এলাকার সাধারণ জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়ে আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হলে তখন থেকে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকগণ বিভিন্ন ধরনের নীলনকশা আঁকতে থাকেন । নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আশার সাথে সাথে নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরণের অরজকতা সৃষ্টি করে । আমার কর্মী সমর্থকসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে এবং তাদের কর্মীগন বলে বেড়ান যে ভোট যেই পাক দারা ভাই এমপি হবে এবং দারা নিজেও বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে নিজেকে নৌকার এমপি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে থাকে উল্লেখ্য যে বানেশ্বর ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিবিসি নিউজ প্রচার করেছে ।
আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই নির্বাচনের আগ মুহুত্বে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে তার পেটুয়াবাহিনী দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংক সৃষ্টি ও বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার পথ রুদ্ধ করে ।
এছাড়া পুঠিয়া – দূর্গাপুর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র হতে ঈগল প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বেলা ১২ থেকে ১ টার মধ্যেই নৌকার এজেন্ট এবং নৌকার সমর্থকরা জোর পূর্বক বের করে দেওয়া হয় এতকিছুর পরেও পুঠিয়া-দূর্গাপুর সাধারণ জনগণ আমাকে নির্বাচিত করতে আমার ঈগল প্রতিকে ব্যাপক ভোট প্রদান করেন । প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ পুঠিয়া-দূর্গাপুর সংসদীয় আসনের জনগণ প্রকৃত পক্ষে আমাকে তাদের মূলবান ভোট প্রদান করলেও জনগণের বিপক্ষে ফলাফল ঘোষনা করে , আবদুল ওয়াদুদ দারাকে নির্বাচিত ঘোষনা করে যেটা কোনোভাবে সাধারণ ভোটারদের কাম্য ছিল না । পুঠিয়া – দূর্গাপুর সংসদীয় আসনের ভোটাররা আমাকে ভোট দেওয়ায় আবদুল ওয়াদুদ দারার লোকজন নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে শক্তিপাড়া সংখ্যালঘু সম্পাদয়ের তন্ময় কুমার বেধরক মারপিট করে ।
বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের তাড়াশ গ্রামে আদিল, আয়ব আলী , জানে আলম , জাফর , বয়নুদ্দিন , শিহির আরো অনেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারা উভয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে । বিড়ালদহ গ্রামে মহিন ও হাতিনাদা গ্রামে আনারুলকে বর্তমান বাড়ি ছাড়া করেছে এবং প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে । মটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে । এতে আমার কর্মীরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না ।
তিনি বলেন- দূর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের শফিকুলের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলে ও পান বরজ হতে পান লুট করে নেয় । ঝালুকা ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামের মহাতাজ মেম্বার, শফিকুল, আব্দুল মোতালেব, পলাশ, শিমুল , চৌপুকুরিয়াগ্রামের সবাইকে বেধরখ মারপিট করে । বর্তমানে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে । দূর্গাপুর উপজেলা ৩ নং পানানগর ইউনিয়নের আদম আলী , আলাউদ্দিন, মামুন শাহ পিতা : লছর শাহ , আজাহার চেয়ারম্যান ও কহিদুল নেতৃত্বে নৌকার মিছিল নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে জানালা দরজা ভাংচুর করে ও ওহির পিতা : খেরু এর প্রায় তিন বিঘা জমি মহিপাড়া আজিজের নেতৃত্বে দখল করে নেয় ।
৪ নং দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নে আশিকুল, আব্দুল মালেক সপ্না মেম্বারের বাড়িতে হামলা করে । ২ নং কিসমতগনকৈড় ইউনিয়নের খোকন আলী , মোঃ জুয়েল, আসাদুল , আলিফের নেতৃত্বে তাদেরকে মারধোর করে গ্রাম ছাড়া করে এখন পর্যন্ত তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেনাই দূর্গাপুর পৌরসভা শরিফ , আজাহার, রোকন , মজনুর নেতৃত্বে দূর্গাপুর বাজারে মিলু , রেজাউল , সোহাগ , শাকিব , হায়দার , মোস্তাজ ও নিঝুমের নেতৃত্বে দূর্গাপুর বাজারে বিভিন্ন দোকানে ও বিভিন্ন নেতা কর্মীর নাম ধরে হুমকি প্রদর্শক করে আসছে।
দূর্গাপুর উপজেলা ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নে প্রভাষক মোজাম্মেল হকের পেটুয়াবাহিনী হুমকি ধামকি দিচ্ছে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে সেই কারনে আমার কর্মী সমর্থক এলাকার বাইরে মানবেতর জীবন যাপন করছে । অদ্য দূর্গাপুর বাজার থানার সামনে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ বাদল মণ্ডলকে সোহানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হামলা করে জখম করে এবং পৌরসভা যুবলীগের সেক্রেটারীর আবুল বাসারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে তার কর্মচারীদের হাট থেকে বের করে দেন ।
এছাড়া দুই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে আমার কর্মী সমর্থকরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে । প্রশাসনকে বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না । প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ আপনাদের মাধ্যমে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে জানাতে চাই যে , আপনার নির্দেশে নির্বাচনকে অবাধ , সুষ্ঠ , নিরপেক্ষ , উৎসব মূখর করার লক্ষ্যে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহন করি এতে আমার কোন ভুল হলে আমাকে ক্ষমা করবেন । আবদুল ওয়াদুদ দারাকে এহেন অরজাকতা কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদানে জোররপূর্বক অনুরোধ করিতেছি।