নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে ট্রাকের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কান্তপুর ও মকিমপুর গ্রামে নিহদের স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে এই শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুঠিয়ার বেলপুকুর চেকপোস্ট এলাকায় রাজশাহী ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ডেপুটি কমিশনার জামিরুল ইসলাম ও নিহতদের স্বজনরা জানান, নগরীর খড়খড়ি বাইপাস থেকে একটি ট্রাক নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। পথে নাটোর থেকে রাজশাহী আসার সময় যাত্রীবাহি সিএনজি বেলপুকুর চেকপোস্ট মোড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে যানবাহন দুটি খাদে পড়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলেএসে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কান্তপুর গ্রামের ইনসাব আলী (৭৫), তার ছেলে আইয়ুব আলী লাবু (৩৫) ও মেয়ে পারভিন বেগম এবং ইনসাব আলীর নাতনি রাজশাহীর শাহ মখদুম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন এবং একই উপজেলার মকিমপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোখলেসুর রহমান। নিহতের স্বজনরা জানান, ইনসাব আলী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তাকে কেমোথেরাপির জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এলাকাবাসি প্রশাসনের কাছে দাবী করেন প্রত্যেকটি বসি ট্রাক থামিয়ে তাদের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস আছে কিনা তা চেক করার। ঘটনাটি মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করে তারা বলেন এ ঘটনায় কাউকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা তাদের কাছে নেই।