নিজস্ব প্রতিবেদক:
সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনে চাঁদাবাজি অভিযোগে রাজশাহীর পৃথক দু’টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নগরীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ট্রাক টার্মিনাল থেকে ৪ জন ও নগরীর উপকণ্ঠ কাটখালীতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক থেকে আরও ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বাইপাস সড়কের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় কিছুদিন ধরে যানবাহন আটকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র্যাবের অভিযানিক দল। অভিযানে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা কাশিয়াডাঙ্গা থানার হাড়ুপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে আখতারুজ্জামান হেলেন (৪৯), মতিহার থানার খোজাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৭), নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুশ (৫৫) ও বায়া ভোলাবাড়ি এলাকার ছলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে মো. মিন্টুকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দর তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া চাল ডাল পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। অন্যদিকে, র্যাবের এই দলটি রোববার দিনগত রাতে নগরীর কাটাখালী এলাকায় মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদা তোলার সময় বেলপুকুর এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২), নামাজগ্রাম এলাকার জাফফার মন্ডলের ছেলে মানিক আলী (৩৮) ও এমাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে দুরুল হোদাকে (৩৮) হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন।
অভিযানকালে যানবাহন থেকে কয়েকটি লাঠি, চাঁদা তোলার রশিদ, ভাউচার, টোকেন ও চাঁদার ৬ হাজার ৮০০ টাকা জব্দ করা হয়। অভিযোগে বলা হয় এসব সংগবদ্ধ চাঁদাবাজ লাঠি সোটা নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লেগুনা, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন আটকে চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদা না পেলে তারা গাড়ি ভাঙচুর করছিল। চালকদের আটকে রেখে মারধরও করে আসছিল তারা। মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারদের সোমবার সকালে আরএমপির শাহমখদুম ও কাটাখালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এসব চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঁদাবাজির মামলা চলমান রয়েছে বলেও র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।