নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহীতে ভারতীয় ভিসা সেন্টার (আইভ্যাক সেন্টার) কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ।
নুরুন্নাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভিসা সেন্টারে ঢুকে কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ চাকরিচ্যুতের ভয় দেখান তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় ভিসাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আটক ওই নারীর নাম নুরুন্নাহার খাতুন মিলি। রাজশাহী নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত রাফি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী তিনি। তিনি উপশহর এলাকার ১ নম্বর সেক্টরের ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন নুরুন্নাহারকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নগরীর বর্ণালী মোড়ে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভিসা সেন্টারে একজন আবেদনকারী তার পরিবারের মোট তিনটি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা তার আবেদনপত্র অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে দেখি তিনি আবেদনের নির্ধারিত ফি জমা না দিয়েই এসেছেন। তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়। তখন তিনি জানান, স্থানীয় একটি ট্রাভেলস অফিসের মাধ্যমে তিনি অনলাইনে ভিসার ফি পরিশোধ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় তিনটি ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ৫২০ টাকা। সেখানে ওই আবেদনকারীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ ওই আবেদনকারীর কোনো টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। এতে আবেদনকারী উল্টো আমাদের সন্দেহ করেন। তখন আমরা বুঝতে পারি, আবেদনকারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর আমরা তাকে পুলিশে অভিযোগের পরামর্শ দেই।’
বিপ্লব কুমার সাহা দাবি করেন, ‘এই ঘটনার পর ৩ জুলাই সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ভিসা সেন্টারে একজন নারী (নুরুন্নাহার খাতুন মিলি) এসে আমিসহ আমাদের অফিসের সব স্টাফকে হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ আমাদের চাকরি থেকে বরখাস্তের ভয় দেখান। ঘটনার পর অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোয়ালিয়া থানায় বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দেই। আমাদের ভিসা সেন্টারে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।’