নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে নামতে সায় নেই দলের অধিকাংশ নেতার। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সিনিয়র নেতাদের ওপর চটেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সূত্র মতে, সম্প্রতি লন্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মহাসচিবসহ কয়েক সিনিয়র নেতার কাছে ক্ষুব্ধকণ্ঠে জানতে চান – কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথের আন্দোলন শুরু করা যাচ্ছে না? তখন তারা তারেক রহমানকে জানান, দলের বিশাল নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ নেতাই রাজপথের আন্দোলনে সায় দিচ্ছেন না। এমনকি দলের স্বাভাবিক কর্মসূচিতেও তারা আসতে চান না। আর নেতারা যদি আন্দোলনে সায় না দেন তাহলে কর্মীদের কীভাবে মাঠে নামানো যাবে? তারপরও তারেক রহমান যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন শুরু করার তাগিদ দেন।
আন্দোলনের বিষয়ে তারেক রহমানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পরও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতার সঙ্গে রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর বিষয়ে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং শনিবার (১৭ আগস্ট) ঈদ পরবর্তী বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আন্দোলনের বদলে সাধারণ কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়েছেন তারেক রহমান।
১৬ আগস্ট বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আক্ষেপ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে না পারা আমাদের দুর্ভাগ্য। কারণ, আমরা তার মুক্তির জন্য এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারিনি।
সূত্র বলছে, মহাসচিবের এমন আক্ষেপের প্রেক্ষিতে তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, দুর্ভাগ্যের কথা বলে কখনো জনসমর্থন পাওয়া যায় না। বরং দুর্ভাগ্যের কথা বলে তিনি লোক হাসাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে মির্জা ফখরুলকে আপাতত কোনো ইস্যুতে কথা না বলতেও নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুলের মতো রাজপথে অনাগ্রহ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যেও প্রকাশ পেয়েছে, দলের নেতাদের রাজপথের আন্দোলনে অংশ নেয়ার আগ্রহ নেই। দলের নেতাদের মধ্যে অনেকেরই আন্দোলনে সায় না থাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দল থেকে আন্দোলন কর্মসূচি নাও হতে পারে।