রাজধানী সম্প্রসারণ করতে আরও পাঁচটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজউক। ঢাকার পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে গড়ে তোলা হবে এসব প্রকল্প। মূলত রাজধানীতে জনঘনত্বের চাপ কমাতেই এসব নতুন উপশহর গড়তে যাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করে এখন চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। বাকি চারটেরও সম্ভাব্যতা যাচাই শেষের পথে। রাজউক জানিয়েছে, প্রকল্পগুলো গতানুগতিক থেকে ভিন্ন ধরনের হবে। বদলে যাবে গোটা রাজধানীর অবয়ব। প্রচলিত প্লটের পরিবর্তে দেওয়া হবে ব্লকভিত্তিক বরাদ্দ। আবার শিক্ষার জন্য বিশেষ অঞ্চল করা হচ্ছে। নদীভিত্তিক করা হবে একটি। আইটি নির্ভর থাকবে বিশেষ প্রকল্প।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান মিঞা জানিয়েছেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে চিরাচরিত ঢাকার রূপ বদলে যাবে। নতুন দিগন্তের ছোঁয়ায় ঢাকা হবে আরও বিস্তীর্ণ। সত্যিকার অর্থেই তখন ঢাকা হবে একটি মেগাসিটি। বছর কয়েক আগে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজধানীতে আর কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আর প্লটও দেওয়া হবে না। সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন রাজউক বলছে, বিপুলসংখ্যক মানুষের আবাসনের চাহিদা থেকেই এসব নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যদিও এখন গুঞ্জন রয়েছে, মূলত মন্ত্রী-এমপিদের যারা এখনো রাজধানীতে কোনো প্লট পাননি তাদের চাপের মুখেই এসব নতুন উপশহর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিদের জন্য নেওয়া একটি প্রকল্প ২০২৬ সালে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর বিত্তশালীদের জন্য প্রকল্পটি হবে আমিনবাজার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর পর্যন্ত। যা আশুলিয়া ওয়াটার বেজড মডেল টাউন নামে পরিচিত হবে।
তবে এসব প্রকল্প পরিবেশবিদ ও নগরবিদরা দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। শীর্ষ নগর বিশেষজ্ঞ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আমরা বিলিয়ন ডলার খরচ করে পদ্মা সেতু বানিয়েছি, যমুনা সেতু করেছি। এখন যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন সময় এসেছে- দু’ব্রিজের দুু’প্রান্তে ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ। স্মার্ট সিটির নামে ঢাকার ওপর আর চাপ বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, যশোর, খুলনা ও চট্টগ্রামের মতো এলাকায় বিশেষায়িত মডেল টাউন যেমন আইটি সিটি, সিল্ক সিটি, টুরিস্ট সিটির মতো অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন অঞ্চল করা যেতে পারে। যেখানে থাকবে সব ধরনের সুবিধা। এতে একদিকে ঢাকার ওপর চাপ কমবে অন্যদিকে অবহেলিত শহরগুলোও ঢাকার মতো মর্যাদাবান হবে। এখন যত বেশি কানেকটিভিটি হবে ততই মঙ্গল হবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন ॥ বুড়িগঙ্গার দক্ষিণপ্রান্তেই ঝিলমিল সংলগ্ন নেওয়া হয়েছে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে রোডের পাশে কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঝিলমিল প্রকল্পের কাছেই নতুন উপশহরে থাকবে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল, অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্র্রিজ, ওয়্যার হাউস, ব্যাংকপাড়া। উপশহরটিতে সাড়ে ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এক-একটি ভবনের উচ্চতা হবে কমপক্ষে ২০তলা। প্রকল্প এলাকায় ২০ শতাংশ জায়গা রাখা হবে গ্রীন স্পেস ও জলাভূমি হিসেবে। এছাড়া মাঠ, বাজারসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এই উপশহরে। এই উপশহরকে বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রাজউক। রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ঘোষণার পর এটিই প্রথম ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন করে একটি আন্তর্জাতিকমানের শহর গড়ার পরিকল্পনা করেছে রাজউক। উপশহরটির প্রধান লক্ষ্য কর্মসংস্থান। পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণবঙ্গের কৃষিপণ্য সহজেই ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে। কাজেই ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের পাশে যদি একটি উপশহর গড়ে ওঠে, সেটি হবে দেশের বিজনেস হাব।
এতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ প্রকল্পে অর্থের জোগান নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করতে চায় রাজউক। সেটি সম্ভব না হলে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় কাজ করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর থেকে ৭ বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় রাজউক। এজন্য দেশী বড় বড় আবাসন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হতে পারে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানকে লিজও দেওয়া হতে পারে। দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করেই এই শহর গড়া হবে। সব সুযোগ হাতে রেখেই প্রকল্প প্রস্তাব করবে রাজউক। তবে এখানে প্রচলিতভাবে সিঙেল প্লট দেওয়া হবে না। এখানে থাকবে ব্লকভিত্তিক বড় বড় প্লট। বেশিসংখ্যক মানুষের বাসস্থান সংকুলানের জন্যই নেওয়া হয়েছে এ পদ্ধতি। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মানদন্ড মাথায় রেখে আন্তর্জাতিকমানের শহর গড়ার ভাবনা থেকেই এটা হাতে নেওয়া হয়েছে।
রাজউক জানিয়েছে, কেরানীগঞ্জের ১৬টি মৌজায় ২ হাজার ২৮৭ একর জমিতে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পপত্র তৈরি করেছিল রাজউক। নতুন প্রকল্পপত্রে ঘরবাড়িগুলো বাদ দেওয়ায় এখন তা কমে ৯১২ একর নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৬ মৌজার পরিবর্তে এখন তিনটি মৌজার জমি অধিগ্রহণ করা হবে। মৌজা তিনটি হলো বেওথা, বাড়িলগাঁও ও তারানগর। প্লট হবে তিন হাজারের কাছাকাছি। কেরানীগঞ্জে আগে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেটা এখন ছোট করে ফেলা হয়েছে। যেসব স্থানে ঘরবাড়ি আছে সেগুলো বাদ দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে সেসব ক্ষতিগ্রস্তের জন্য একটি অঞ্চল তৈরি করে প্লট দেওয়া হবে। এতে ওই এলাকার উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
এ বিষয়ে রাাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিচুর রহমান মিঞা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৌখিক নির্দেশনা পেয়েই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ডিপিপি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তারপর যাবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে। এসব ধাপ পেরিয়ে নতুন বছরেই শুরু করা যাবে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন।
তিনি বলেন, এই নতুন উপশহরে কত ব্লক হবে তা আরও পরে চূড়ান্ত হবে। উন্নত দেশের শহরগুলো যেভাবে গড়ে উঠেছে তার থেকে ভালো আয়োজন থাকবে সেখানে। তাতে এককভাবে কাউকে প্লট দেওয়া হবে না। এক বিঘার প্লট দিলে ৪ জনকে দেওয়া হবে। দুই বিঘার প্লট হলে ৮ জন পাবে। এটা করতে পারলে দেখা যাবে কোনো প্লট যদি ১২ জনকে দেওয়া হয়। তা হলে সেই প্লট সুউচ্চ ভবন বানাতে পারবে। প্রকল্প এলাকার ভেতরে খেলার মাঠ করতে পারবে। এটি আন্তর্জাতিকমানের উপশহর হবে।
মুন্সিগঞ্জ মডেল টাউন ॥ কেরানীগঞ্জের পাশেই মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকায় জরিপ কাজ শেষ পর্যায়ে। এখানেও গড়ে তোলা হবে বিশেষ প্রকল্প। অত্যাধুনিক এই প্রকল্পে প্রাধান্য দেওয়া হবে স্থানীয়দের। বছরতিনেক আগে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও করোনার জন্য অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। রাজউক এখন আশাবাদী, নতুন বছরেই সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে পরবর্তী ধাপের কাজ শেষ করা যাবে। রাজউকের পরিকল্পনা রয়েছে, নবাবগঞ্জ-দোহার-মাওয়া এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে একটি প্রকল্প করার। পূর্বাচলের দক্ষিণে হবে শিক্ষা জোন আর পূর্বদিকে হবে আরেকটি আবাসন প্রকল্প।
শিক্ষা জোন টাউন ॥ দেশে প্রথমবারের মতো তো বটেই রাজধানীতেও সম্পূর্ণ নতুন মডেলের একটি বিশেষ মডেল টাউন গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা জোন (অঞ্চল) নামে এই প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এটা হবে পূর্বাচল প্রকল্পের দক্ষিণে পূর্বাচল ও ডেমরার মধ্যবর্তী স্থানে। এটি বাস্তবায়িত হলে পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প এলাকার পূর্বদিকে ঢাকা মহানগর বাইপাসের উত্তরপাশ দিয়ে রাস্তা তৈরি হবে। তবে ড্যাপ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেই আবাসন প্রকল্পের প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দের কাজ শুরু হবে।
শেখ রাসেল বিনোদন পার্ক ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের নামে ‘শেখ রাসেল ওয়াটার বেজড বিনোদন পার্ক’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজউক। ঘাটারচরের ওই স্থানের বেশিরভাগই জলাশয়। সরকারি খাস হিসেবে চিহ্নিত ওসব জমির কিছু অংশ দখলদাররা ভরাট করে দখল করে রেখেছে। তাদের উচ্ছেদ করে সেখানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এখানকার জলাশয় ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে শেখ রাসেল ওয়াটার বেজড পার্ক। শেখ রাসেল ওয়াটার বেজড বিনোদন পার্কের কাজটা দ্রুতই শুরু হবে।
এ জন্য প্রকল্প পরিচালকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশুলিয়ার প্রকল্পটিতে বিদেশী বিনিয়োগকারী পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর সংলগ্ন বছিলা ব্রিজ পার হয়ে সামনের ঘাটারচর এলাকায় ৫০ দশমিক ৭০ একর জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ১০ দশমিক ৭২ একর খাসজমি। বাকিটা আশপাশ থেকে অধিগ্রহণ করা হবে। এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ শ’ কোটি টাকা। এ বিনোদন পার্ককে আকর্ষণীয় করার জন্য থাকবে এম্ফিথিয়েটার, কমিউনিটি সেন্টার, অফিস ভবন, ওয়াচ টাওয়ার, ব্যায়ামাগার, আধুনিক রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, সাঁতারকাটা, নৌকা ভ্রমণসহ জলাশয়কেন্দ্রিক নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষের বনভোজন বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের সুযোগ থাকবে।
আশুলিয়া ওয়াটার বেজড মডেল টাউন ॥ এদিকে রাজধানীর আমিনবাজার, মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের কাশিমপুরের অংশবিশেষ নিয়ে একটি বৃহৎ আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজউক। তুরাগ তীর ঘেঁষে সাভার ও আশুলিয়ার বিশাল এলাকা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রাজউক রক্ষা করতে পারছে না। বর্ষা মৌসুমে রাতেরবেলায় নৌকায় করে তারা বালু ফেলে। শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই সেখানে চর জেগে ওঠে। এভাবে আশুলিয়ার বিশাল এলাকা ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গাছপালা গজিয়েছে। এ জন্যই আমিনবাজার থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত পুরো এলাকা অধিগ্রহণ করে তুরাগ নদ ও জলাশয়গুলো রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে। এখানেও যেসব স্থান ভরাট হয়ে গেছে সেখানে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংকে (আইডব্লিউএম) দিয়ে ওই এলাকার জরিপও করেছে রাজউক। জরিপ মতে, এ অঞ্চলে ৭১ শতাংশ জলাশয় রয়েছে। বাকি ২৯ শতাংশে প্লট, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র, মার্কেট, হোটেল প্রভৃতি তৈরি করা যাবে। এ ছাড়া জায়গাটি বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় আরও আকর্ষণীয় হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজউক জানিয়েছে, আমিনবাজার গাবতলী ব্রিজের উত্তরে কোর্টবাড়ি মৌজা ও পশ্চিমে আমিনবাজার ল্যান্ডফিল থেকে উত্তর দিকে আশুলিয়া পর্যন্ত তুরাগ নদের দুই পাশ দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর পর্যন্ত এলাকায় হবে এই আবাসন প্রকল্প। এসব এলাকায় বেশকিছু ঘরবাড়ি, কারখানা, পার্ক, রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট, আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন ধরনের অবাঠামোও রয়েছে। এসবের প্রায় সবই জলাভূমি ভরাট করে তৈরি হয়েছে। মিরপুরের নবাবেরবাগ, দিয়াবাড়ি, সাভারের সাঁতারবাড়ি, চন্দ্রনারায়ণপুর, শিবপুর, কাউন্দিয়া, বাঘসাঁতরা, বনগাঁ, বেরাইদ, গে-ারিয়া, চাকুলিয়া, বিরুলিয়া, আশুলিয়ার দেনুয়া, বিনোদপুর, প্যারাগাঁও, ভাসান, গুশুলিয়া, গুটিয়া, পালাসনা, জিরাবো ও বাসান মৌজায় বাস্তবায়িত হবে আশুলিয়া আবাসন প্রকল্প। জলাশয় ছাড়া ৯ হাজার একরের কিছু বেশি এলাকা নিয়ে এটি হবে।
রাজউকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার বড় যৌক্তিক কারণ হচ্ছে, ভূমিদস্যুদের করালগ্রাস থেকে সরকারি খাস জমি রক্ষা। সাভার ও আশুলিয়া এলাকার জলাশয় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রাজউক রক্ষা করতে পারছে না। বর্ষা মৌসুমে রাতের অন্ধকারে নৌকায় করে তারা বালু ফেলে। শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই সেখানে চর জেগে ওঠে। এভাবে আশুলিয়ার বিশাল এলাকা ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গাছপালা গজিয়েছে। এ জন্যই আমিনবাজার থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত পুরো এলাকা অধিগ্রহণ করে তুরাগ নদ ও জলাশয়গুলো রক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব স্থান ভরাট হয়ে গেছে সেখানে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হবে।