স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরের আশপাশের ৬ নদীর পানি দূষণ রোধে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাতে নদীগুলোকে দূষণ ও দখল থেকে রক্ষা করা যায়। রোববার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘মাস্টার পস্ন্যান অন মেঘনা রিভার’ শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আলো, বাতাস ও পানি আলস্নাহ প্রদত্ত সম্পদ যা সারা পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে নদীমাতৃক জনবহুল বাংলাদেশের জন্য পানির বিশুদ্ধতা জরুরি বিষয়। সে লক্ষ্যে সায়েদাবাদ পানি পরিশোধন প্রকল্পের উৎস মেঘনা নদীর পানি দূষণ রোধে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি আরও জানান, ঢাকা শহরের আশপাশের ছয়টি নদীর পানি দূষণ রোধে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে নদীগুলোকে দূষণ
ও দখল থেকে রক্ষা করা যায়।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার দায় বাংলাদেশের অতি নগণ্য হলেও বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশগুলোর একটি। আজকেও (রোববার) মোখা নামক একটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে।
উন্নত বিশ্বের শিল্পায়নের দায় আমাদের নিতে হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পানি ও বাতাসের মতো সম্পদের দূষণ রোধে আমাদের সমন্বিত প্রয়াস নিতে হবে। সে জন্য তিনি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উন্নয়ন অংশীদারদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য পানি অপরিহার্য। কিন্তু মানুষই এই পানি দূষণ করে থাকে নানাভাবে। মানুষ কৃষিতে কীটনাশক ও সার ব্যবহার করে, শিল্পায়নের বর্জের মাধ্যমে পানি দূষণ করে। এ সময় তিনি পানির মতো অমূল্য সম্পদ দূষণ থেকে রক্ষায় সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এতে আরও বক্তৃতা করেন এএফডি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর চাসাত্তে বেনিয়ট ও ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতার প্রধান ফ্লোরিয়ান হোলেন।