নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী গ্রামগঞ্জ জ্বালিয়ে নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঘরবাড়িতে সেনাদের গোলাবর্ষণে এরই মধ্যে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দোকানপাটও জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা।
প্রায় দুই বছর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে ফের সংঘর্ষে এই হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিষয়টি উত্থাপনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কিছু নথি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছিল মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক (প্রচার) মিং ইয়ু হাহ বলেন, ‘সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর চরম মূল্য দিচ্ছে বেসামরিক মানুষ।’
‘মানুষের জীবনের কোনো মূল্য দিচ্ছে না মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের আচরণ দিনকে দিন ভয়ঙ্কর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে চলমান নৃশংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই সরব হওয়া উচিত। নীরব থাকলে তাদেরকে এর জবাব একসময় দিতে হবে।’
প্রাথমিক পর্যায়ের সাক্ষ্য, রাখাইন থেকে সংগ্রহ করা নৃশংসতার ছবি, ভিডিও ও স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবি এবং স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য আন্তর্জাতিক আদালতে উপস্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত বলেও মনে করেন তিনি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট