নিউজ ডেস্ক:
আজ ২২শে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। বিশ্বব্যাপী রবিভক্তদের কাছে এই দিনটি শোক, আর শূন্যতার।
নয়ন তাকে দেখতে না পেলেও, তিনি সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও বিশ্ব বাঙালির হৃদয়ে রয়েছেন সারাক্ষণ। কেনো না তার বিশাল কীর্তি দিয়ে বাঙালিকে বিশ্ব মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। বাঙালির সুখে, দুখে, বেদনায়, সংকটে বড় আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সাহিত্যের সব শাখায় ছিলো তাঁর প্রাণময় বিচরণ। তারপরও বাঙালির কাছে তিনি কবিগুরু।
১৮৬১ সালের ৭ই মে কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম। বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাবা মায়ের চতুর্দশ সন্তান।
প্রথাগত শিক্ষা তার ছিল না। যদিও মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সৃষ্টিসুখের উল্লাসে ভাসতে থাকা বরীন্দ্রনাথ সেই পাঠও শেষ করতে পারেননি।
৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
১৯০১ সালে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় বা ব্রহ্মচর্যাশ্রম নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।
১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা যান রবীন্দ্রনাথ।