নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘সরকারের রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর আওতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতকে অর্থাৎ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করতে খুবই আকর্ষণীয় সুদে এই ঋণ যোগান দেয়া হচ্ছে। তহবিলটি আবর্তনশীল হওয়ায় অনেক বেশি গ্রাহককে এই তহবিল থেকে ঋণ দেয়া সম্ভব হবে।’
রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তির আধুনিকায়নে ঋণ সহায়তা দিতে নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই তহবিলের ঋণের সুদহার ৫ থেকে ৬ শতাংশ। রপ্তানি নীতি ২০১৮-২১ এ উল্লিখিত সর্বোচ্চ অগ্রধিকারপ্রাপ্ত খাত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক ৩২টি খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ১১ ধরনের উদ্যোগের আওতায় এই ঋণ বিতরণ করা হবে।
উদ্যোগগুলো হলো, রপ্তানিমুখী শিল্পের মুখ্য উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিজনেস প্রসেস রিইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজনেস প্রসেস অটোমেশন, অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, বর্জ্য, বায়ু, তাপ ব্যবস্থাপনা, কর্মপরিবেশ (অগ্নি ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য সেবা) ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং হিসাবায়ন, ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা, বিপণন, বিক্রয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মেশিনারিজ ও প্রযুক্তি উন্নয়ন।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনবল ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে এই তহবিলের ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়।
বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর আওতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতকে অর্থাৎ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করতে খুবই আকর্ষণীয় সুদে এই ঋণ যোগান দেয়া হচ্ছে। তহবিলটি আবর্তনশীল হওয়ায় অনেক বেশি গ্রাহককে এই তহবিল থেকে ঋণ দেয়া সম্ভব হবে।’
নিয়মিত তদারকির ফলে এই তহবিলের ঋণের গুণগতমান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও আশা করেন তিনি।
তহবিলের ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের এই ঋণ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক রেটের ওঠানামার সঙ্গে সুদের হার ওঠানামা করবে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে ব্যাংক রেট ৪ শতাংশ। ব্যাংকগুলো এই তহবিল থেকে ঋণ পাবে ব্যাংক রেটের থেকে এক শতাংশ কম সুদে। অর্থাৎ বর্তমানে ব্যাংকগুলো ঋণ পাবে ৩ শতাংশ সুদে।
শিল্প প্রতিষ্ঠান পাঁচ বছরের কম সময়ের জন্য ঋণ নিলে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার পড়বে ৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের বেশি এবং আট বছরের কম সময়ের জন্য ঋণ নিলে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার পড়বে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আট বছরের বেশি এবং ১০ বছর পর্যন্ত সময়ের জন্য ঋণ নিলে গ্রাহক পর্যায়ে সুদ পড়বে ৬ শতাংশ।
এই ঋণ নিতে হলে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ৩০ শতাংশ অর্থ নিজেদের জোগান দিতে হবে। বাকি ৭০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।