শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / যে কোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত

যে কোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আমরা বিশ্বাসী। তবে যে কোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা সদা-প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’

আজ শনিবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষানীতি ১৯৭৪-এর আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীকে সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিশেষায়িত সামরিক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, গত এক দশকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখাকে আধুনিক সমরাস্ত্র ও উপকরণ দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এই সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনী যে পরিমাণ আধুনিকায়ন হয়েছে অতীতে কোনো সময়ে তা হয়নি।

তিনি বলেন, এই সময়ে ২টি পদাতিক ব্রিগেড, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন, সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য ১টি কম্পোজিট ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন ছাড়াও ১০টি ব্যাটালিয়ন, এনডিসি, বিপসট, এ.এফ.এম.সি, এম.আই.এস.টি, এনসিও’স একাডেমি ও বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এবং আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে সেনাবাহিনীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর্মি ইনফরমেশন টেকনোলজি সাপোর্ট অর্গানাইজেশন।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে করোনাকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাদের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ‘‘লক-ডাউন কার্যক্রম’’ বাস্তবায়ন করেছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে মহামারি প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি এবং বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনা করে যাচ্ছে।’

এছাড়াও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকার সমন্বিত করোনাভাইরাস চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, শিক্ষক, বিশিষ্টজনসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেছে।

প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর যেসব সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে মালদ্বীপে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের দেওয়া চিকিৎসা সামগ্রী নৌবাহিনীর জাহাজে সেখানে পাঠানো হয়। এছাড়াও জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বিজয়’ লেবাননের বৈরুতে বসবাসরত বাংলাদেশি পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর জাতিসংঘের ৭৫তম বছরপূর্তিতে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা আবারও সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রদানকারী দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের যেসব শান্তিরক্ষী মারা গেছেন, আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল পদবীর অফিসার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এবং ফোর্স কমান্ডার হিসেবে একজন মেজর জেনারেল বা লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদবীর অফিসার নিয়োগের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বলে উল্লেখ করেন। 

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …