নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে ধরা খেলো আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য। ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নলডাঙ্গা বাজার থেকে চোর চক্রের ৪ সদস্য উপজেলার হলুদ ঘর গ্রামের সাইদুল ইসলাম কাজীর ছেলে মোঃ আবির ইসলাম (আবিদ) ওরফে রবিউল (১৯), এবং রুহুল আমীন (১৮), একই এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে শাকিল আহম্মেদ জীম (১৯), পিতা-রাজু আহমেদ, বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার মালসন গ্রামের মোস্তফার ছেলে মোঃ মোতালেব (২১)কে আটক করা হয়। সেই সাথে আটককৃতদের কাছ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মাষ্টার কী উদ্ধার করে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোহরুজ্জামান জানান, ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার পূর্ব মাধনগর এলাকার জনৈক আসাদুজ্জামান আসাদের একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ বিষয়ে ওই দিনই মোটরসাইকেল মালিক আসাদুজ্জামান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন । এরপর পুলিশ নলডাঙ্গা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে মোটরসাইকেল সহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃত চোর চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং জানায় যে, তারা নাটোর জেলা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় একাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত ।
আসামীদের স্থায়ী ঠিকানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় তারা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ নিয়ে চোর চক্রের মোঃ আবির ইসলাম (আবিদ) ওরফে রবিউল এর নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। উপজেলার পূর্ব মাধনগ গ্রামের ওয়াহেদ হোসেনের ছেলে মোঃ আসাদুজ্জামান জানান , ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তার ব্যবহৃত ১৫০ সিসি লাল-কালো রংয়ের পালসার মোটরসাইকেল, যার রেজিঃ নং-নাটোর-ল-১১-৭৮১১ টি উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বীরকুৎসা স্টেশন মসজিদের পশ্চিমে নাটোর নওগাঁগামী সড়কের পাশে রেখে ট্রাক্টর দ্বারা পার্শবর্তী মাঠের জমিতে চাষ করতে থাকে। বিকেল চারটার সময় অজ্ঞাতনামা চোর ঘটনাস্থলে এসে ঐ ব্যক্তির মটরসাইকেলটি একটি মাষ্টার কী দ্বারা কৌশলে লক ভেঙ্গে চুরি করার চেষ্টা করলে গাড়ির মালিক মাঠ থেকে তা দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় চোর চক্রটি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে নলডাঙ্গা বাজার অভিমুখে পালিয়ে আসে। বিষয়টি নলডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগত করলে চক্রটিকে আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান শুরু করে।