ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ আয়োজিত দিনব্যাপী আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, বিভিন্ন উন্নত দেশ বিভিন্ন সময়ে কখনো পরস্পরমুখী, কখনো অভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে থাকে। বাংলাদেশ নিজস্ব উন্নয়ন ধারণা থেকে সেগুলোতে সম্পৃক্ত হয়। একইভাবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ (বিআরআই) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন (আইপিএস)- উভয় উদ্যোগ আমাদের উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকায় শুরু হওয়া ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের কর্মঅধিবেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কথা বলেন।
‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক অধিবেশনে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা মনে করি, এই দুটি উদ্যোগ একে অপরের পরিপূরক এবং এদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ নেই। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও সমুদ্র সম্পদ সহযোগিতাসহ অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ডায় বাংলাদেশ অংশ নেবে না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই শতকে এশিয়ার দেশগুলো উন্নতি লাভ করবে এবং বড়ো শক্তিগুলো এশিয়ার বিষয়ে এখন অনেক বেশি মনোযোগী। বড়ো শক্তিগুলোর এখন একটি প্ল্যাটফরম ও আইনগত ভিত্তি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাণিজ্য বাধা দূর করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে ১০ সদস্যবিশিষ্ট আশিয়ান একটি বড়ো ভূমিকা রাখছে কিন্তু তারা তাদের সদস্য হওয়ার দরজা বন্ধ রেখেছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে এই বাজারে ভূমিকা রাখার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত।
তিনদিনব্যাপী ঢাকা ডায়ালগে প্রায় ৫০টি দেশের মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, নীতিনির্ধারক, গবেষক ও বেসরকারি খাতের প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।