নিউজ ডেস্ক:
দুনিয়ার প্রায় সব জায়গায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে সব দেশের ভোক্তাই চাপে পড়েছেন। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সুবাতাস বইছে। এর ফলে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা। আমদানির এই পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে গত মার্চে সর্বোচ্চ ১০৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। পরের ২ মাসে রপ্তানি হয় যথাক্রমে ৮২ ও ৮১ কোটি ডলারের পোশাক। জুনে সেটি বেড়ে ৯০ দাঁড়ায় কোটি ডলারে। জুলাইয়ে কমে ৬৯ কোটি ডলার হলেও আগস্টে তা আবার বেড়ে ৯২ কোটিতে দাঁড়ায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৯১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ তৃতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই বাজারে গত বছর বাংলাদেশ ৭১৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২০ সালের চেয়ে এ আয় ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশি পোশাকের বড় বাজার। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাজারটিতে রপ্তানি কমে যায়।