রেহাই দেওয়া যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যারা বিগত ১৫ বছরে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে লড়েছে, দেশেটাকা আত্মস্ধসঢ়;াৎ করেছে, ঘুষ-দুর্নিতির সাথে জড়িত ছিলো, এদেরকে
রেহাই দেওয়া যাবে না। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলের অন্যায় ভাবে জামায়াতের শীর্ষ নেতা নেতাদের
ফাঁসি দেয়া হয়েছে। ৬৭৭ জনকে গুম করা হয়েছিল। হাসিনার ফ্যাসিস্ট
সরকার একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে। ৩ হাজার মানুষকে বিনা বিচারে
হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। গণ হত্যার
সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। যারা গুলি করেছে তাদেরও
আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আওয়ামীলীগ আমলে ভিন্নধর্মীর
লোকজনও নিরাপদ ছিলো না। পূজা নিভিনে উদযাপন করতে জামায়াতের সকল
নেতা কর্মিদের সজাগ থাকার আহবান জানান। আগামী দিনের বাংলাদেশে
কোন বিভাজন থাকবে না। সবাই বাংলাদেশি। দেশের স্বার্থে সকলকে এক
হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা যেটা পারিনি ছাত্ররা সেটা পেরেছে। অন্যায়
করেছে বলেই তারা পালিয়ে যাচ্ছে। সৈরাচারের দোসরদের আশেপাশে রেখে
দেশের সংস্কার করা যাবে না।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে দিনাজপুরের বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলাম বিরামপুর শাখার আয়োজনে বিরামপুর সরকারী কলেজের
হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম শুরা সদস্য ও দিনাজপুর দক্ষিণ
সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর আনোয়ারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বৈষম্য
বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়
ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রংপুরে সহকারী জেনারেল
সেক্রেটারি ও দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম উপরোক্ত
কথাগুলো বলেন।
মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা পুজা উদযাপন
কমিটির সভাপতি শিশির কুমার, হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও
ঘোড়াঘাট উপজেলা জামায়াতের নেতা কর্মিরা, শিক্ষক,ব্যবসায়ী,
শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শেষে
ছাত্রজনতার আন্দোলনে শহীদ হাকিমপুরের সূর্য, পাঁচবিবির নাঈম ও
নবাবগঞ্জ আশিকুর-এর পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা
প্রদান করা হয়।