নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ম্যানেজিং কমিটি ছাড়াই চলছে রাজশাহীর দুুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয় পরিচালনা কার্যক্রম থেকে স্বাভাবিক পাঠদান। মূলত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়টির সর্বশেষ ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও গঠন করা হয়নি কমিটি। নেয়া হয়নি নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ও খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নামে প্রায় ৪৩ বিঘা জমি রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ স্কুলের নামে জমি দান করেন। যা বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে আছে। এর মধ্যে প্রায় ৭ বিঘা আয়তনের পুকুর ও অন্যান্য জমি লিজ দেয়া হয়। যেখান থেকে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হয়।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দীন ২০১৩ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক অনিয়ম, অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। তার অনিয়মে বাধা হওয়ার আশঙ্কায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে ১১ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দীন বলেন, ‘২০১৩ সালে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য হলে একই পদে ১৪ জন প্রার্থী হন। শেষমেষ তার প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিষয়টি অন্য শিক্ষকরা মেনে নিতে পারেনি। যেকারণে তার বিরুদ্ধে নিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বরং তিনি যাতে করে কমিটি গঠন করতে না পারেন, সেজন্য তার বিরোধী পক্ষ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’।
আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘বিদ্যালয়ে শিক্ষকের তিনটি শূন্য পদ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয়, তাই মাসিক বেতনে তিনজন শিক্ষক রাখা হয়েছে। এছাড়া স্কুলটি আধা সরকারি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হয় না। স্কুলের আনুসঙ্গিক ব্যয় মেটাতেও জমি লিজ দিয়ে আয় করা টাকা খরচ করতে হয়’।
কথা হয় কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে তারা বলছেন, শিক্ষকদের অন্র্Íদ্বন্দ্বের কারণে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। তারা বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ নাসির উদ্দীন বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমার হাতে এসেছে। আমরা তদন্ত করছি’ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।