নিউজ ডেস্ক: ব্যক্তি অসন্তুষ্টি, অবমূল্যায়নের জের ধরে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করলেও তিনি আসলে দলের উপরে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। আর তাই পদত্যাগ পরবর্তী সময়ে বিএনপিকে নিয়ে নানা কটাক্ষে সরব হয়েছে তিনি।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির সাবেক এই নেতা জানিয়েছেন, শুধু তিনি পদত্যাগ
করেছেন বলে ভাবার অবকাশ নেই যে এটাই শেষ, আরও অন্তত ১০০ বিএনপি নেতা
পদত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা যখন-তখন একত্রে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন।
গত ৬ নভেম্বর (বুধবার) তার পদত্যাগের পর তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। যা বিএনপির জন্য অশনি সংকেত বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
এদিকে এর আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৫ নভেম্বর (রোববার) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর রাজনীতি নেই। এরা স্কাইপের মাধ্যমে রাজনীতি করতে চায়। এটি করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। আমি বুঝে গেছি, বিএনপি ভূত-ভবিষ্যৎ। যা নিয়ে আর এগোতে চাই না। দল যে গতিতে চলছে এবং নেতারা যেরকম গ্রুপিং-লবিংয়ে ঢুকে গেছে তাতে ব্যক্তি সম্মান টিকিয়ে রাখতে হবে নিজেকেই। এ বিবেচনা থেকেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সূত্র বলছে, মনোনয়ন ও দল পুনর্গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ মোরশেদ খান দলবিচ্ছিন্ন ছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে মোসাদ্দেক আলী ফালু ও ইনাম আহমেদ চৌধুরী পদত্যাগ করেন। সম্প্রতি ইনাম আহমেদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।