নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মুশতাক আহমেদের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের পক্ষ থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
মুশতাকের বড় ভাই ডা. নাফিছুর রহমান বলেন, তার মরদেহ আমি নিজে দেখেছি। কোনো প্রকার সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া আমি এ ব্যাপারে কী বলব? আমরা কোনো মামলাও করব না।
মুশতাকের স্ত্রী লিপা আক্তার বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গত ১০ মাসে একবারের জন্যও তার সঙ্গে মুশতাকের দেখা হয়নি। হাইকোর্টে জামিন আবেদনের সময় আদালতে আনা হয় না। সবশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে নিম্ন আদালতে আনা হয়েছিলো। তখন লিপা ছিলেন হাসপাতালে। তবে সপ্তাহ দুয়েক আগে মুশতাকের সঙ্গে লিপার মুঠোফোনে কয়েক মিনিটের জন্য কথা হয়েছিলো। তখন মুশতাক বলল, ও ভালো আছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জানি সুস্থ আছে। এটা কী হলো?’
শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন জানান, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী এসআই সৈয়দ বায়েজীদ জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় মুশতাকের মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। তার পিঠের মধ্যভাগে যেকোন সময় “ঘা” হয়েছে এমন দাগ পাওয়া গেছে। ডান হাতে হালকা লালচে কালো ছোট দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালে আনার সময় বা গাড়িতে উঠানোর সময় এ দাগ হয়ে থাকতে পারে।
রমনা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের মে মাসের গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন মুশতাক।