নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারলাম, এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আমরা আলোকিত করেছি এ দেশের মানুষের প্রত্যেকটা ঘর। তিনি বলেন, ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করব। প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি। গতকাল দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীতে নির্মিত পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন।
২২০ নৌকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত : সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে দেশের সর্ববৃহৎ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা সোয়া ১১টায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি সংলগ্ন রাবনাবাদ নদীতে ২২০টি নৌকায় জেলেরা আকর্ষণীয় ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন। পতাকা নেড়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এতে নৌকা প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় উপকূলের মানুষের জীবনবৈচিত্র্য। নৌকায় গান পরিবেশনসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে মুখরিত ছিল রাবনাবাদ নদী এলাকা। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে নৌকায় থাকা জেলেদের শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোনে নৌকা প্রদর্শনীর দৃশ্য ধারণ করেন।
রাবনাবাদ নদী মোহনায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় নৌকা। এর মধ্যে ১০০ নৌকা ছিল পাল তোলা, ১০০ নৌকায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন। আর ২০টি নৌকায় ছিল নিরাপত্তা সদস্যরা। প্রতিটি নৌকায় রংবেরঙের পোশাকে চারজন করে মোট ৮৮০ জন জেলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) মধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ হাজার একর জমির ওপর নির্মিত পরিবেশবান্ধব এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।