নিউজ ডেস্ক:
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এসংক্রান্ত একটি নীতিমালার খসড়া জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গতকাল শনিবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযুদ্ধ পদক চালুবিষয়ক প্রস্তাব এসেছে। এখন এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালার আলোকে সাতটি শ্রেণিতে ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এই পদক দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী বছর থেকেই এই পদক প্রবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে।
জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অনেক কিংবদন্তি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজ বেঁচে নেই। স্বাধীনতাসংগ্রামকে সংগঠিত করা ও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অনেক ব্যক্তি, সংগঠন ভূমিকা রেখেছে এবং এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এসব ব্যক্তি, সংগঠন ও সংস্থার অবদানকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তাঁরা সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত বোধ করবেন। তাঁদের কর্মের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরো বিকশিত হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের অর্জন পূর্ণতা পাবে।
স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে সরকার বরেণ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে সম্মানিত ও উৎসাহিত করতে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।