মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বিকালে টোকিওতে জাপানের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন আকাসাকা প্যালেসে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করা হয়। খবর : বাসস।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই দুঃসময়ে যারা বাংলাদেশের পাশে ছিলেন, তাদের অবদানের কথা স্মরণ করি, আমরা কখনো আমাদের বন্ধুদের ভুলি না। আমার মনে হয়, বাংলাদেশই বোধ হয় একমাত্র দেশ, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের পাশে ছিলেন, যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের খোঁজ করেছি, খুঁজে বের করেছি এবং আমাদের সাধ্যমতো সবাইকে আমরা সম্মান করার চেষ্টা করেছি, সম্মান দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময় (১৯৭১) যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের কখনো আমরা ভুলতে পারি না; তাদের অবদান ভুলতে পারি না।’ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাঙালি, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি অনেক রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমাদের পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
সম্মাননাপ্রাপ্ত চার জাপানি নাগরিকের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ আরও চারজন মহান বন্ধুকে সম্মান জানিয়েছে, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা আমাদের অসহায় মানুষদের জন্য মানবিক ত্রাণ, চিকিৎসা সুবিধা পাঠিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় এর আগেও সম্মাননা পাওয়া আট জাপানি নাগরিকের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব অটুট থাক। আমরা শুধু আমাদের বন্ধুদের সম্মান করি না, জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনও উদযাপন করি। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য যে চার জাপানি পুরস্কৃত হয়েছেন তারা হলেন- ফুকিউরা তাদামাসা, পেমা গিয়ালপো, তানাকা তোশিহিসা ও তাসুগি কিয়োশি।