সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শের-ই–বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদ নামে একজন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিকে পুলিশি তথ্যমতে তাকে পিটিয়ে হত্যার কথা ধারণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। উক্ত হত্যার ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হলের ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি শুধু একজন সরকার প্রধানই নই, একজন মা-ও। মা হিসেবে আবরার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করবো।’ গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি পেতেই হবে। কাউকে একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। এর সঙ্গে জড়িতদের ধরা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অনেকে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। আমি ফুটেজগুলো সংরক্ষণ করতে বলেছি। শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, আমি একজন মা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করব।’
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ছাত্রলীগকে চুপ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সন্ধানী এখান থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে। তাদের সফল হতে দেওয়া যাবে না।’
এ সময় হত্যাকাণ্ডের পরপরই বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের দ্রুত ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিত ছিল। উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল, আর তিনি এতটা সময় বাইরে ছিলেন? আবরারের জানাজায়ও তার অংশ নেওয়া উচিত ছিল।’