“নারী”
হে নারী তুমি; প্রাণ সঞ্চারি,
আঁধার রাতের খেয়া।
উড়াও বিজয় কেতন তুমি,
জ্বালাও প্রদ্বীপ দিয়া।
জঠর জ্বালায় ধৈর্য্য ধরো তুমি
রূপ সৌন্দর্যের রস করো শেষ তুমি।
ব্যথায় তুমি অবচেতন তবু,
সহ অসহ্য জ্বালা।
তাই তো তুমি মা,
মধুর নামটি জপে,
গলে দেয় মালা।
প্রতিদান চাওনা তুমি,
ভালোবাসা চাও মুঠো মুঠো।
প্রেম সুধা দিতে নরে কেন হয় কুন্ঠিত ?
ভালোবাসায় বুকে বাঁধো কোঠা।
সুখে দুখে বয়ে চল জীবন তরীর বৈঠা।
বয়সের ভারে নিমজ্জিত তুমি
তবু তোমাকেই প্রয়োজন ক্ষণে ক্ষণে।
তোমার বিহনে নর অসাড়,
যতই থাকুক ধনকুপ ধনে।
অশান্ত জীবনে নারী তুমি আনো শৃঙ্খলা নিয়ম,
চিরকল্যাণ,
চিরমঙ্গল,
সংসারের ঢাল,
তরবারি তুমি,
সৃষ্টির সকল।
অপূর্ণতায় পূর্ণতা আনো নারী এমনই জাতি।
স্রষ্টা তাঁর গৌরব দেখায়, সৃষ্টিকুলের প্রতি,
আদমের মনমরা হৃদে প্রাণোজ্জ্বলতার তুমি ছায়া
আদমের প্রেমে কুন্জবন ছিল যে মা বিবি হাওয়া।
নারী বিহনে পায়নি পূর্ণতা,
অলিন্দ গুচ্ছ মধুবন।
নারী দেয় পরশ,
নারী দেয় সাহস,
সামনে চলার গতি নারীর প্রেম দেয় শক্তি,
সামনে চলার অপার প্রগতি।
নারী দেয় আশা,
নারী দেয় ভাষা,
প্রেমের আস্বাদন।
দূর্বার আকর্ষণ,
অমৃত্য সুখ,
পাও যদি নারীর অভিবাদন।
ক্লান্তির অবসাদ ধুয়ে মুছে দেবে রেশম সোহাগের ছোঁয়া।
এই জীবনে রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুখ খুঁজে পাবে,
দূর হবে বিষাদময় ধোঁয়া।
জাগতিক আরাধ্য নারী,
প্রেমপুষ্প ফোঁটায় ভালবাসার কাননে।
নারী যে স্বর্গ নরের ইহলোকে,
পরলোকে হুরও নারী জান্নাতের বাগানে।
ঘরে বাইরে, পথে-প্রান্তরে করো সম্মান নারী,
নারীর ভালবাসা কুঁড়ায়ে লও কভু করো না আহাজারি।
মনে রেখো সবে,
নারী থেকে জন্মেছো তুমি।
নারীর কারনে সৃষ্ট হয়েছে এই বিশ্ব-জগত ভূমি।
লেখিকা: মাসুমা মণি