নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ প্রতিক্ষা আর অনিশ্চিয়তার পর অবশেষে ২০১৬ সালে চালু হওয়া রিহায়ারিং প্রোগ্রাম (পুনঃ বৈধকরণ) কার্যক্রম ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এই প্রোগ্রামটি পাঁচ বছর মেয়াদি হওয়ায় এ বছর ২০২১ সালে সমাপ্ত হয়ে যায়। এতে প্রবাসীরা ষষ্ঠ ভিসা নবায়ন করতে পারছিলেন না। এতে লাখ লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী অবৈধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম এবং অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছিল। অবশেষে সরকারের এ ঘোষণায় স্বস্তির কোমল বাতাস বইছে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।
বুধবার বিকেলে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল জাজাইমি বিন দাউদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিহায়ারিং প্রোগ্রামে অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (PLKS) হলো বেসরকারি সংস্থা মাইইজি-এর মাধ্যমে সরকার কর্তৃক অভিবাসী কর্মীদের বৈধতার মাধ্যমে কর্মসংস্থান। এই অস্থায়ী ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রিহায়ারিং প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শুরু হয়ে একটানা পাঁচ বছর ২০২১ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রবাসী কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। কোভিড মহামারির কারণে দেশটির অর্থনীতি ও শ্রমবাজাট সঙ্কটের মুখে পড়ে এবং তীব্র শ্রমিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় রিহায়ারিং প্রোগ্রাম ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যা প্রতি বছর নবায়ন করে নিতে হবে। ষষ্ঠ ভিসা কার্যক্রম চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে শুরু হবে বলে বিজ্ঞপিতে জানানো হয়েছে।
যে সব নিয়োগকর্তারা রিহায়ারিং প্রোগ্রামের অধীনে কর্মচারী নিয়োগ করবেন তাদের নিম্নলিখিত শর্তগুলির প্রতি মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে।
ভিসা নবায়ন করতে পারবেন তার একটি নমুনা নিচে দেয়া হলো-
১-নিয়োগকর্তারা রিহায়ারিং প্রোগ্রামের অধীনে নিয়োগের পর কোন শর্ত লঙ্ঘন করেনি এমন কর্মী।
২-যে কর্মচারীদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তারা ভিসা নবায়নের জন্য আবেদন করার যোগ্য নয়।
৩-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (KDN) বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কর্মচারীরা বা নিয়োগকর্তা সেক্টর পরিবর্তন করতে পারবেন না।
৪-শুধুমাত্র নিয়োগকর্তা এবং অনুমোদিত নিয়োগকর্তা প্রতিনিধিদের এক্সটেনশন আবেদন জমা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
৫-এই অস্থায়ী ভিজিট পাস (PLKS) এক্সটেনশন শুধুমাত্র ePLKS বা MyEG-এর মাধ্যমে অনলাইনে অনুমোদিত হবে।