নিউজ ডেস্ক:
আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসকালে বিরোধীদলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন তিনি।
এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
টিকা সংগ্রহ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে। আগামী ২/৩ তারিখের মধ্যে ২৫ লাখ মর্ডানা ভ্যাকসিন চলে আসবে। চীন ভ্যাকসিনও একই সময়ে চলে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৩০ লাখ ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে। সিনোফার্মার সঙ্গে চীনা দেড় কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা দিয়ে ৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসনকে রিসেন্টলি অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানকার ৭ কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে ৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে (মার্চের মধ্যে) পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথম কোয়াটার্রের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য সেবার সব স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা চলছে। প্রায় এক কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এক লাখ করোনার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব কাজ বিনামূল্যেই করা হয়েছে। অক্সিজেন সেন্টার লাগানো হয়েছে ১০০টি। ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ১০০টি। আরও অন্যান্য অতিরিক্ত কাজ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছরের এডিপির ১২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল। ভ্যাকসিন বাদ দিলে এর ৮৫ শতাংশ অর্জন হবে। ভ্যাকসিনের ৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হলে সেটা ১৫০ শতাংশ অর্জন হবে। এই হিসাবটা কেউ করছেন না।’