নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের ফর্মুলা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশে কোভিড ১৯-এর টিকা উৎপাদনের চিন্তা করছে সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য বছরে শতকোটি ডোজ টিকার উৎপাদন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল এবং রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) মধ্যে টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার পর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যা পর্যালোচনা করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই খসড়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এরই মধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে দুপক্ষের মধ্যে একটি পারস্পরিক সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত চাওয়ার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এমওইউর খসড়া পাঠিয়েছে ইডিসিএল।
জানা গেছে, দেশে প্রস্তাবিত ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপনের জন্য ভারী সরঞ্জাম সংগ্রহে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি ঋণপত্র খোলা হবে। খসড়া সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল নভেল প্রোটিন সাব ইউনিট ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য প্রতিবছর ১০০ কোটি ডোজ। যদিও এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক শর্তাবলি যেমন আপফ্রন্ট অ্যাক্সেস ফি, মাইলস্টোন এবং রয়্যালটি পরিসংখ্যানগুলো নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সুরাহা করা এবং আলোচনা বাকি রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী মাসে ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মার্ক এমালফার্ব এবং ইডিসিএলের এমডি ও সিইও অধ্যাপক (ডিআর) এহাসানুল কবিরের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, এরই মধ্যে ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল আফ্রিকায় কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনের প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। কারণ আফ্রিকাতেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম টিকা দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিটি চলতি বছরের জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার রুবিক কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং লাইসেন্সিং চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরই ডায়াডিক তাদের কোভিড টিকা ট্রায়ালের জন্য অনুমতি চাইবে।
বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনসংক্রান্ত কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খান আমাদের সময়কে বলেন, প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য গোপালগঞ্জে সাড়ে সাত একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিছু জটিলতা রয়েছে, তা নিরসনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে। এখানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির উদ্ভাবিত নভেল প্রোটিন সাব ইউনিট টিকা তৈরি করা হবে। যা কম খরচে দ্রুত সময়ে উৎপাদন করা সম্ভব।