সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করা হবে
নিউজ ডেস্ক:
করোনা পরিস্থিতির কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর সময়োপযোগী সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
এনসিটিবি থেকে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বর্তমান সিলেবাসের যে অংশটুকু গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো রেখে বাকিগুলো বাদ দেয়া হবে। পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে যুক্ত করা হবে।
শিক্ষার এই ‘রিকভারি প্ল্যান’ চূড়ান্ত করতে বুধবার (১২ আগস্ট) এনসিটিবিতে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ কর্মশালা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণ কর্মশালার মাধ্যমে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে ৭০ দিন সময় পেলে সিলেবাসের কোন অংশটুকু পড়ানো হবে, ৫০ দিন পেলে কতটুকু পড়ানো যেতে পারে এবং ৩০ দিন সময় পেলে কতটুকু অংশ বাতিল করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ানো যেতে পারে সে ধরনের তিনটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা পাঠ্যবই বিশ্লেষণ করে তিন ধরনের প্রস্তাব তৈরি করছেন। এরপর সেসব প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বুধবার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নির্ধারিত ছুটি থাকার কারণে সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণ করা হচ্ছে। এজন্য দুই দিনব্যাপী আমরা কর্মশালা করছি। এর মাধ্যমে সময়োপযোগী তিনটি প্রস্তাব তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যেকোনো একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে যে প্রস্তাবটি কার্যকর করা হবে সেই সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে।
সূত্র: শিক্ষাবার্তা