নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়াঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মাদক সেবনের অপরাধে মখলেসুর রহমান নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বাঘা থানার পারসাওতা গ্রামের সাজির বটতলা নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে মাদক সেবনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিউপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হোসনেআরা বেগম। সে এই ধরনের ছেলে নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মখলেসুর রহমান (৪০) পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মোজাহার হোসেনের ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বারও। তার বিরুদ্ধে বাঘা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ৯/১০ মার্চ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বাঘা থানার এসআই গোলাম হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলার পারসাওতা এলাকা থেকে মোখলেসুর রহমানকে মাদক সেবনের দায়ে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেখানে তিনি ভারতীয় তৈরি ফেনসিডিল সেবন করার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
তবে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুঠিয়ার জিউপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম বলেন, পুঠিয়া থেকে সে ওই এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলো সন্দেহমুলক ভাবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি।
জানা গেছে, বুধবার (১১ মার্চ) মকলেসকে আদালতে তোলা হলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়। তবে জামিন আবেদন নাখোচ করে তাকে কারাগারে প্রেরন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে পুলিশের হাতে মখলেছুর রহমানকে গ্রেফতারের খবর তার নির্বাচনী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বমহলে চলছে নেতীবাচক সমালোচনা।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মখলেসকে মাদক সেবনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে সে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক সেবনের বিষয়টি সে তাৎক্ষণিক স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।