নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, ২ লাখ ২০ হাজার সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী গঠিত। পুলিশ সদস্যরা মানুষের সেবা ও জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। এই করোনাকালে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে তারা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছেন। এ দায়িত্ব পালনকালে ২০ হাজার পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে করোনায় অনেক সহকর্মী হারিয়েছি। নাটোরেও গত ১৩ আগস্ট পুলিশ পরিদর্শক সুমন আলী মারা গেছেন। তারপরও দৃঢ় মনোবল নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
গত শুক্রবার বিকালে নাটোরের পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে বিশেষ কল্যাণ সভা এবং সদর সার্কেল অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে দৈনিক খোলা কাগজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশ দেশজুড়ে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করে অপরাধীকে আইনে সোপর্দ করে। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে তারা নিলরস কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণের সহায়তা দরকার। সম্প্রতি বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়ে তা নির্মূল করাই আমাদের লক্ষ্য। সামনের দিনগুলোতে পুলিশ আরও ভালো কাজ করবে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপির নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজশাহী রেঞ্জ থেকে কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে ডিআইজি বলেন, একসময় রাজশাহী অঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। নাটোরও তার বাইরে ছিল না। পুলিশ এই অঞ্চলে শান্তির বারতা পৌঁছে দিয়েছে। নাটোরের বর্তমান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা তার পুরো টিম নিয়ে নাটোরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। ইতোমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে এই জেলায়। বাবু শেখের মতো সিরিয়াল কিলারকে আইনের আওতায় আনা এই জেলার বড় সফলতা বলে মনে করি। লিটন কুমার সাহার টিমস্পিড, দ্রুত অপরাধের কারণ উদ্ঘাটন করাসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি রোল মডেল হিসেবে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। নাটোর পুলিশ অনেক ভালো কাজ করছে উল্লেখ করে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান ডিআইজি হাফিজ আক্তার। এ সময় পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।