নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদক নির্মূল করার জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাদকের চাহিদা শিগগিরই অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকাসক্তদের সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য আমাদের সরকার বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত বেসরকারি ও পরামর্শ কেন্দ্রগুলোকে সরকারি অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা বাড়াতে বিদ্যমান সরকারি কেন্দ্রগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকার কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করাসহ ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগে দুইশ শয্যা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচাররোধে আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা সরকার গঠনের পর মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করি। মাদক অপরাধ দমনে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ ঘোষণা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ দেশের সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত আইন যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।