নিউজ ডেস্ক:
অবশেষে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকরিয়ার ফাসিয়াখালী থেকে বদরখালী ব্রিজ পর্যন্ত ২৪৩ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য গত ২৯ আগস্ট ভূমি মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মার স্বাক্ষরে এই নোটিশ দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবিত এলাকার চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ বিষয়ে ভূমি মালিকদের জন্য সচেতনতা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান, চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল চৌধুরী, ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনসহ কয়েক শ ভূমি মালিক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভূমি অধিগ্রহণের নানা ধাপসহ কোনো কোনো ধাপে ভূমি মালিকদের করণীয় কী তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য ভূমি মালিকদের কোনো দালালের শরণাপন্ন না হতে এবং কারও অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এরপর তিনি ভূমি মালিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ভূমি মালিকরা তাঁদের জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ, নির্মিতব্য সড়ক যেন কৃষিকাজে ব্যবহৃত পানির প্রবাহে বিঘ্ন না ঘটায়, সেদিকে লক্ষ রাখার দাবি জানান।
এ সময় খাসজমিতে যেসব দরিদ্র মানুষ ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন, তাঁরা যেন ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করার দাবি ওঠে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাঁদের বক্তব্য শোনেন এবং উত্থাপিত বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।