শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / উন্নয়ন বার্তা / মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু করল জাপানি কনসালট্যান্ট

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু করল জাপানি কনসালট্যান্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়ীতে বঙ্গোপসাগর উপকূলে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজের প্রথম পর্বের কাজ শুরু করল জাপানি কনসালট্যান্ট নিপ্পন সিনো কোম্পানি লিমিটেড। ২২ জুলাই নিপ্পনকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (কনসালট্যান্ট) হিসেবে নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিপ্পনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারা গভীর সমুদ্রবন্দরের চট্টগ্রাম বন্দর অংশের ডিজাইন ও টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরি এবং কনস্ট্রাকশন কাজের সুপারভিশন করবে। এ জন্য নিপ্পন ২৩৪ কোটি ৩ লাখ টাকা ফি পাবে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। জাপান থেকে নিপ্পন টিম এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রামে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করণীয় নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। টিম লিডার মি. হোতানি জানান, কনসালট্যান্ট হিসেবে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল। প্রথম পর্বে ডিজাইন ও সিভিল ওয়ার্ক সম্পন্ন করে দ্বিতীয় পর্যায়ে ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ করা হবে। প্রকল্পে সর্বাধুনিক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হয়ে গেল। এটি দেশের জন্য একটি মাইলফলক প্রকল্প। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক বেল্ট গড়ে উঠছে তা বেগবান হবে গভীর সমুদ্রবন্দরের কারণে। ২০২৫ সালে এটি পরীক্ষামূলক চালু হবে। ২০২৬ সালে পুরোদমে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। ৮-১০ হাজার টিইইউস কন্টেইনার নিয়ে বড় জাহাজ এই বন্দরে এসে সরাসরি বার্থ নিতে পারবে।
জাপানি অর্থায়নে নির্মাণাধীন এই সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো তৈরির জন্য ১ হাজার ২২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ২৯৪ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রসাশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গা লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে।
বন্দর সূত্র জানান, জাপান সরকারের ২ হাজার ৬৫৫ মিলিয়ন ইয়েন ঋণ সহায়তায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। কনটেইনারবাহী বৃহদাকার মাদার ভ্যাসেল ভেড়ানোর মাধ্যমে শুরু হবে স্বপ্নের এই গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। ১৬ মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ এখানে ভিড়তে পারবে। ভবিষ্যতে এই বন্দর উপমহাদেশে শিপিং বাণিজ্যের হাব হিসেবে গড়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য গত বছর ঢাকায় জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই ঋণচুক্তির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ হাজার ৬৫৫ মিলিয়ন ইয়েন দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে। ১ দশমিক ২৬ শতাংশ হার সুদের গ্রেস পিরিয়ড দশ বছর। পরবর্তী বিশ বছরের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। শর্ত অনুযায়ী আগামী ছয় বছর পর মধ্যে গভীর সমুদ্রের কার্যক্রম শুরু করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মাতারবাড়ীতে বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণে বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যয় হবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …