নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র (হাসপাতাল) এর আবাসিক ভবন দখল করে আধা-পাকা টিনশেড বাড়ি নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। পাশবর্তী খাজুরা ইউনিয়নের ঝিঙ্গাবাড়ীয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রাতারাতি এই বাড়িটি নির্মাণ করেছেন। আর সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে নোটিশ দিলে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছেন দখলকারী রফিকুল ইসলাম ও তার আত্বীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক। এদিকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের জায়গায় নির্মিত টিনশেড বাড়িটি অপসারণ প‚র্বক সরকারি জমির দখল ছেড়ে দিতে নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ এ.এস.এম আলমাস। নোটিশে আগামী সাত দিন সময় দিয়েছেন দখল ছাড়তে।
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স‚ত্রে জানায়, চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের পশ্চিমে জায়গা দখল করে একটি টিনের ছোট্র স্থাপনা নির্মাণ করেন রফিকুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি। পরে পুরাতন আবাসিক ভবনের তালা ভেঙ্গে দখল করে বসবাস শুরু করেন। এখন আবার নতুন করে রাতারাতি টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করেন। মৌখিক ভাবে একাধিক বার সরকারি জায়গার দখল ছেড়ে দিতে বলা হলেও দখল না ছেরে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে এই জায়গায় বসবাস করছেন। দখল স‚ত্রে এই জায়গা তাদের। আর এখান থেকে তাদেরকে কেউ সরাতেও পারবে না। এবিষয়ে আ’লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক, দখলকারী রফিকুল ইসলাম বোন জামাই স্বীকার করলেও হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আবাসিক ভবনের জায়গা রাতারাতি বেদখল হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি উপজেলা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এখন সেখান থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ এ.এস.এম আলমাস বলেন, তিনি এখানে নতুন যোগদান করেছেন। আর চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের জায়গা দখলের খবর পেয়ে সেখানে সরেজমিনে গিয়ে নিষেধ করতে গেলে দখলকারী কোন কর্ণপাত না করায় সাত দিনের মধ্যে ভবন ও সরকারি জায়গার দখল ছাড়তে নোটিশ করা হয়েছে। আর নোটিশ হাতে পেয়ে দখলকারী সহ তার আত্বীয় আ’লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সাইফুল ইসলামকে ফোনে হুমকি ধামকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি।