নিউজ ডেস্ক:
শত বছরের পুরনো আইনকে যুগোপযোগী করতে ‘মহাসড়ক আইন-২০২১’ শনিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া মহাসড়কে যেকোনো অবকাঠামো স্থাপনকে ‘অনুপ্রবেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অপরাধের জন্য বিলের ১৪ ধারায় সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি উত্থাপনের পর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি পাস হলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচালে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী সব স্থাপনা উচ্ছেদ ও সড়কের জমি উদ্ধার করা হবে। মহাসড়কের পাশে হাটবাজার বসতে পারবে না। অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করা হবে। মহাসড়কে সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড এবং তোরণ নির্মাণে শাস্তি পেতে হবে। বিলটি পাস হলে হাইওয়ের রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও নির্মাণে বিদ্যমান ‘দ্য হাইওয়ে অ্যাক্ট-১৯২৫’ রহিত হবে।
সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ‘একটি আধুনিক, উন্নত, কার্যকর মহাসড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপদ ও গতিশীল যানবাহন চলাচল, মহাসড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী মহাসড়ক নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি তুলিবার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।’
বিলে ক্ষতিকারক উপাদান ছড়িয়ে দেয় এমন মোটরগাড়ি মহাসড়কে চালানোর অপরাধে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। মহাসড়কে ফসল, খড় বা অনুরূপ উপকরণ শুকানোর জন্য রাখা হলে বা অনির্ধারিত জায়গা দিয়ে চলাচলের অপরাধে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। মহাসড়কে ঝুলন্ত বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ও তোরণ নির্মাণ বন্ধের বিধান অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, নির্ধারিত মাশুল প্রদান সাপেক্ষে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সরকারি, বাধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউটিলিটি সংযোগগুলো মহাসড়কের প্রান্তসীমা বরাবর স্থাপন করা যাবে। তবে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারবে না। করলে তাদেরকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট আইনের উল্লিখিত শাস্তি প্রদান করবে।