শনিবার , নভেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / মহাসড়কে নির্মাণ হচ্ছে ট্রাক চালকদের জন্য বিশ্রামাগার

মহাসড়কে নির্মাণ হচ্ছে ট্রাক চালকদের জন্য বিশ্রামাগার

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এর কারণে বেশ সফলতা অর্জন করেছে বর্তমান সরকার। বিগত অন্যান্য সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে সড়ক দুর্ঘটনার হার নিতান্তই কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে আপেক্ষিক হার চিন্তা করলে অনেকাংশে কমে গিয়েছে সড়কে দুর্ঘটনার হার। 

এদিকে সড়কে লং রুটে যাতায়াতরত ট্রাক চালকদের সুবিধার্থে মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। মূলত প্রধানমন্ত্রীর একান্ত নির্দেশনায় দ্রুত এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাক চালকদের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে।

বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এসব বিশ্রামাগার নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এতে ব্যয় হবে ২২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। এই ব্যাপারে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন জানান, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে একাধিক একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মহাসড়কের পাশে চালকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যাতে চালকরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে এসব বিশ্রামাগারে রেস্ট নিতে পারেন। চা-নাশতা খেতে পারেন। রিফ্রেসড অবস্থায় গাড়ি চালাতে পারেন। সেই নির্দেশনা মেনেই এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘গত বছর প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি পালন করতে দেশে প্রথম বারের মতো এ ধরনের বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হল। বিশ্রামাগারগুলো এমন হবে যে, সেগুলো সার্ভিস সেন্টার তৈরি করা হবে। উন্নত দেশের মতো এসব বিশ্রামাগারে খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানো, ফুয়েলিং এবং শপিংয়ের ব্যবস্থাসহ আধুনিকসহ সুযোগ-সুবিধা থাকবে। বিশ্রামাগারগুলোতে একই সময়ে কমপক্ষে ৫০টি ট্রাক দাঁড়াতে পারবে।’ তিনি আরো চানান, ‘যাত্রীবাহী বাসের জন্য বিভিন্ন স্থানে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা আছে। তাই ট্রাকের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, দেশের প্রধান মহাসড়কগুলোতে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসচালক ও যাত্রীদের স্বল্প বিরতি নেয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রাক চালকদের জন্য কোনো বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা নেই। ফলে চালকরা অনেক সময় সড়কের পাশে ট্রাক থামিয়ে রেখে বিশ্রাম নেন, যা পক্ষান্তরে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি করে। অথবা দ্রুত বিশ্রাম নেয়ার জন্য বিপজ্জনক গতিতে গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।

এ কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে কোনো চালকের একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি বেশি গাড়ি না চালানো, ট্রাক চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঘুমানো, চালক পরিবর্তন এবং যানবাহনের বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যাগুলো দূর করার জন্য মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার জরুরি। এসব বিশ্রামাগারে পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা, চালকদের রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা, বিনোদনের জন্য টিভি, ওয়াশ রুম, চা, কফিসহ পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা চালকদের ভ্রমণজনিত ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করার মাধ্যমে স্বস্তিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি করবে।

এসব বিবেচনায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এবং মাগুরা জেলায় এসব বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে।

ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের চারটি মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের জন্য আধুনিক সুবিধা সংবলিত বিশ্রামাগার স্থাপন করা হবে। এতে চালকরা স্বস্তিদায়কভাবে গাড়ি চালাতে পারবেন। ফলে সড়ক দুর্ঘটনাও হ্রাস পাবে।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …