নিউজ ডেস্ক:
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এই প্রথম মহাসড়ক বসছে ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাসড়কে গতি এবং ওজন সীমা অতিক্রমকারী যানবাহন শনাক্ত করতে পারবে। নতুন প্রযুক্তিটি জয়দেবপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত ২৬০ কিলোমিটারে মহাসড়কে স্থাপন করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন প্রযুক্তি মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনবে বলে তারা আশা করছেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্র জানায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে চলমান সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় এই আইটিএস পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) ও চীনা কোম্পানি ফাইবারহোম টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে এক লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকার (১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এনডিই সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, এই প্রকল্পটি দেশের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রকল্পই ভবিষ্যতে এরকম অনেক প্রকল্পের পথ খুলে দেবে।
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, পুরো মহাসড়কটিকে মনিটরিং করতে টাঙ্গাইলের পাকুল্লা, বগুড়ার মহাস্থানগড় এবং রংপুরের ইসলামপুর-এই তিন স্থানে মনিটরিং ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে আইটিএসের মাধ্যমে পুরো মহাসড়কটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রাজধানীর মিরপুরে হবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং ভবন।
তিনি আরও বলনে, মহাসড়কে কোনো দুর্ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং ভবন থেকে তা তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কের ওজন নিয়ন্ত্রণে পাকুল্লা, মহাস্থানগড় এবং ইসলামপুরে তিন স্টেশনও স্থাপন করা হবে। কোনো ট্রাক নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি পণ্য পরিবহন করলে সে ট্রাকের চালককে জরিমানা করা হবে।
পাকুল্লা, মহাস্থানগড় এবং ইসলামপুর-তিনটি স্টেশনে একটিওয়েই ইন মোশন (ডব্লিউআইএম) সিস্টেম বসানো হবে। এর মাধ্যমে কোনো ট্রাক অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি পণ্য বহন করলে তা জানা যাবে। কোনো ট্রাক নির্ধারিত ওজনের বেশি মালামাল বহন করলে জরিমানা করা হবে। প্রকল্প পরিচালক জানান, আগামী দুই বছরে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ককে চার লেনে উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার পাশাপাশি আইটিএস পদ্ধতি স্থাপনের কাজও শেষ হবে।