নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা মহামারির বছরে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১দশমিক ৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। সেই হিসাবে ২০২০ সালে ২০ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছে। সদ্য শেষ হওয়া বছরে যে পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনই আসেনি। সর্বশেষ গেল ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
রবিবার (৩ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেমিটেন্স সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছে এক হাজার ২৯৪ কোটি ৪৭ লাখ (১২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন) ডলার। আর ২০১৯-২০অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন সময়ে এসেছে ৮৭৯ কোটি ৭০ লাখ (৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন) ডলার। গত জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল, যা ছিল মাসের হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
জানা যায়, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসের পাঁচ মাসেই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের যে রেমিটেন্স এসেছে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩ বিলিয়ন (৪ হাজার ৩০০ কোটি) ডলার অতিক্রম করেছে। রবিবার দিন শেষে রিজার্ভে ছিল ৪৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।