নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুটি ট্রাকসহ উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী রিপন হোসেন (৩৩) সহ সাতজনকে আটক করেছে র্যাব-৫।
এসময় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১৮ মে) সকালে র্যাব-৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। রবিবার(১৭মে)দিবাগত রাত ১০টার দিকে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যাংক এশিয়ার সামনের রাস্তায় উপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর এবং নওগাঁ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বদিউল হকের ছেলে রিপন হোসেন (৩৩), জেলার মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে আলম ইসলাম (২৬), পত্নীতলার ঘোষনগর গ্রামের দইমুদ্দিনের ছেলে সেকান্দার (৪৫), কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালীকৃষ্ণনগর অহিদ মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (৩৪), রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শিবু পাঠানপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনর ছেলে আতাউর রহমান (২৮), নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম গ্রামের মৃত মিজান উদ্দিনের ছেলে মাহাবুব (২৮) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের নজুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া (২৭)।
র্যাব-৫ জানিয়েছে, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ পিপিএম এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুইটি ট্রাকসহ সাতজনকে আটক করা হয়। এসময় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
কোম্পানী কমান্ডার বলেন, রিপন হোসেন ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। ২০১১ সালে সরকারী চাকুরী অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত মাদকের বড় বড় চালান কুমিল্লা, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টতা বজায় রাখে। তাকে এবং তার সিন্ডিকেটের অপর ছয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলাসমূহে মাদক পরিবহনের সমগ্র চক্রটি কার্যতঃ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বে বলে আশা করা যায়।