নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
সরকারি অফিসের সকাল ৯টা থেকে ৪০ মিনিট উপস্থিত থাকার নির্দেশ তোয়াক্কা করছেন না হাকিমপুর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত রোববার ১৪ ই মার্চ এ সংক্রান্ত পরিপত্রের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সব বিভাগের কমিশনার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, জরুরী পরিস্থিতি ছাড়া জনস্বার্থে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যকীয় ভাবে সকাল ৯টায় অফিসে এসে অত্যাবশ্যক ভাবে ৯টা ৪০ অবস্থান করতে হবে।
কিন্তু রোববার (১৪ ই মার্চ) হাকিমপুর উপজেলা বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই চিঠির তোয়াক্কা করছেন না। এমনকি সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত কোন কোন সরকারি অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অফিসে কর্মকর্তার চেয়ার আছে কর্মকর্তা নেই। উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মকর্তা নেই, চেয়ার আছে। হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা অফিসে নেই। মৎস্য কর্মকর্তা নেই, চেয়ার ফাঁকা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দরজায় তালা ঝুলানো। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের চেয়ার ফাঁকা। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের চেয়ার ফাঁকা। উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রারণ অফিসারের চেয়ার ফাঁকা। উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলানো। সেটেলমেন্ট অফিস খোলা থাকলেও অফিসারের কক্ষে তালা ঝুলানো। এসব অফিসের কর্মকর্মা-কর্মচারীরা মন্ত্রি পরিষদের চিঠির তোয়াক্কা করছেন না ।
হাকিমপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাঃ আবুল কালাম আজাদের নিকট সরকারি নির্দেশনা মানছেন না কেন, জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেনি। বার বার শুধু বলছেন ভাই আসেন অফিসে চা খেয়ে যান।
হাকিমপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, ভাই আমি একটু বাহিরে ছিলাম।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মামুদুল হাসান বলেন, ব্যানার আনতে গিয়েছিলাম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বোরহার উদ্দিন বলেন এক মাসের ছুটিতে আছি এই কথা বলে পাশ কাটিয়ে যান। উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, গতকাল অফিসে আমাদের অনুষ্ঠান ছিলো, অনেক রাত হয়েছে, তাই অফিসে আসতে সময় লেগেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরজিনা বেগমও একই কথা বলেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিতা লস্কর বলেন,আমি একটু বাহিরে আছি। উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির সোলায়মান আলীকে এই নির্দেশনার কথা বললে, তিনি বিভিন্ন বাহানা দিয়ে এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম জানান, আমি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে এসেছি। তার নিকট সরকারি নির্দেশনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারি নির্দেশনা পেয়েছি। আপনার উপজেলার প্রায় অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপস্থিত নেই- বললে তিনি জানান প্রতিটি অফিসে নির্দেশনার চিঠি পাঠানো হবে। সতর্কতার পরও যদি কেউ অফিসে সময় মতো উপস্থিত না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠাবো।
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / দিনাজপুর / মন্ত্রিপরিষদের চিঠির তোয়াক্কা করছেন না দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …